নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলায় গরু বিক্রির ৮৫ হাজার টাকা গরু ব্যবসায়ী লাবলু মোল্যাকে আটকে পাওনা টাকা চাওয়ার ঘটনায় ওই ব্যবসায়ীর কাছ থেকে টাকা ছিনতাই ও অপহরন করে শিকল দিয়ে বেধে মারটিপের অভিযোগ ওঠে বাবুল মুসল্লি, পাইলট মুসল্লি, সেলিম মুসল্লিসহ আরও ৩-৪ জনের বিরুদ্ধে।
রোববার (১২ জানুয়ারী) সরেজমিনে উপজেলার নলদী ইউনিয়নের চরবালিদিয়া গ্রামে গিয়ে স্থানীয়দের সাথে কথা বলে এঘটনায় ভিন্ন তথ্য উঠে আসে।
স্থানীয় কয়েকজন প্রতিবেশিরা ঢাকা মেইলকে জানান, প্রায় ১ বছর আগে ফরিদপুর জেলার আলফাডাঙ্গা উপজেলার টোনারচর গ্রামের গরু ব্যবসায়ী লাবলু মোল্যা লোহাগড়া উপজেলার নলদী ইউনিয়নের চরবালিদিয়া এলাকায় আত্নীয় বাড়ি হওয়ার সুবাধে ওই গ্রামের কাবীর মুসল্লির একটি গরু ৯৫ হাজার টাকায় দামদর ঠিক করে ১০ হাজার টাকা বায়না করে গরু নিয়ে যান এবং বাকি ৮৫ হাজার টাকা পরে দিয়ে যাবেন। ওই গরু ব্যবসায়ী এলাকার আত্নীয় হবার কারনে গরুর মালিক বাবুল মুসল্লি তাকে গরু দিয়ে দেন। এরপর লাবলুর কাছে বিভিন্ন ভাবে পাওয়া টাকা চাইলে তিনি টাকা দিতে গড়িমাসি করেন। এ নিয়ে গরুর মালিকসহ তার ছেলেরা কয়েকবার ওই গরু ব্যবসায়ীর বাড়িতে গেলেও তিনি পাওয়া টাকা দেননি।
এদিকে শুক্রবার (১০ জানুয়ারি) সন্ধায় বাবুল মুসল্লি ও স্থানীয়রা তাকে পেয়ে পাওনা টাকার জন্য আটকান এসময় তার কাছে কোন টাকা পয়সা নেই বলে জানান তিনি। পরে ঘটনাটি জানিয়ে তার স্ত্রীকে ফোন করে টাকার কথা বল্লে তিনি টাকা নিয়ে আসতে চান। অনেক রাত হওয়ার পরেও তিনি না আসলে ঘটনাটি নলদি পুলিশ ফাঁড়িতে জানানো হয়। পরেরদিন শনিবার (১১ জানুয়ারি) সকালে লাবলুকে তারা নলদী পুলিশ ফাঁড়িতে নিয়ে যাওয়ার সময় প্রতিমধ্যে পুলিশ তাকে নিয়ে যায়।
গরু বিক্রেতা কাবীর মুসল্লি ঢাকা মেইলকে জানান, ‘ এক বছর আগে আমি লাবলুর কাছে গরু বিক্রি করিছি অনেকবার টাকা চাইছি টাকা দেয়না। আমরা তার কাছে শুধু পাওনা টাকা চাইছি। তার কাছে ৩ লাখ ৭০ টাকা তার কাছে ছিলো এটা মিথ্যা কথা। তার কাছে কোন টাকা পয়সা ছিলো আর আমরা তার কাছে শুধু গরুর বিক্রির বাকি ৮৫ হাজার টাকা চাইছি।’
গরু বিক্রেতা কাবির মুসল্লির ছেলে পাইলট মুসল্লি ঢাকা মেইলকে বলেন, আমার আব্বা লাবলুর কাছে গরু বিক্রি করে তার ৮৫ হাজার টাকা না দেয়ায় আমরা তাকে আটকাই এবং সেই টাকা দাবি করি। তাকে আমরা যখন ধরি তার কাছে কোন টাকা ছিলো না। কিন্তু সে যে অভিযোগ করছে আমরা তার কাছ থেকে টাকা নিছি এটা সত্য নয়।
চর-বালিদিয়া গ্রামের মাতুব্বর রাজু মুন্সি ঢাকা মেইলকে বলেন, গরু বিক্রির টাকা নিয়ে লাবলুর শশুর বাড়ির লোকজনদের টাকার কথা বলা হলেও তারা কোন পদক্ষেপ নেননি। লাবলুকে আটকে তাদের জানানো হলে তারা বলে যে ওকে শিকল দয়ে বেধে আটকে রাখো টাকা না দিলে পরে বিষয়টি নলদী পুলিশ ফাঁড়িকে জানানো হলে ফাঁড়ি আইসি মুরসালিন বিষয়টি স্থানীয়ভাবে সমাধানের জন্য বলেন। শনিবার লাবলু মোল্যাকে নলদী পুলিশ ফাঁড়িতে নিয়ে যাওয়ার পথে ফাঁড়ির পুলিশ তাকে নিয়ে যায়।
এ ঘটনায় গরু ব্যবসায়ী লাবলুর ২ টি ভিডিও বক্তব্য ঢাকা মেইলের হাতে এসেছে, যেখানে ঘটনার দিন তাকে আটকের সময় জিজ্ঞাসাবাদে তিনি স্বিকার করেন যে তার কাছে কোন টাকা কোন টাকা পয়সা নেই। অন্য একটি ভিডিওতে গরু বিক্রেতা তার কাছে গরু বিক্রির ৮৫ হাজার টাকা পাবেন এটা স্বিকার করছেন।
এ ব্যাপারে নলদী পুলিশ ফাঁডির ইনচার্জ মুরসালিন বলেন, শুক্রবার রাত ১১ টার দিকে চর-বালিদিয়া গ্রামের রাজু মুন্সি আমাকে ফোনে জানায় যে আমরা একজন আটকে রাখছি টাকা পাবো সেজন্য। আমি তাদের বলি টাকা পাবেন সেজন্য কাউকে আটকে রাখা যাবেনা। যদি টাকা পান এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তি নিয়ে বিষয়টি মিমাংসা করে নেন তবে কাউকে আটকে রাখতে পারবেন না। পরেরদিন শনিবার লোহাগড়া থানায় অভিযোগের ভিত্তিতে ওসি স্যারের নির্দেশে ভিকফিম উদ্ধারের জন্য যাওয়ার পথে রাজু মুন্সির সাথে দেখা হয়। তার সাথে আমরা ভিকটিম লাবলু মোল্যাকে পেয়ে উদ্ধার করে পরিবারের কাছে হস্তানন্তর করি।
লোহাগড়া থানার ওসি মো.আশিকুর রহমান জানান, এঘটনায় গরু ব্যবসায়ী লাবলু মোল্যার স্ত্রী একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। আমরা তদন্ত করছি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
রোববার (১২ জানুয়ারী) সরেজমিনে উপজেলার নলদী ইউনিয়নের চরবালিদিয়া গ্রামে গিয়ে স্থানীয়দের সাথে কথা বলে এঘটনায় ভিন্ন তথ্য উঠে আসে।
স্থানীয় কয়েকজন প্রতিবেশিরা ঢাকা মেইলকে জানান, প্রায় ১ বছর আগে ফরিদপুর জেলার আলফাডাঙ্গা উপজেলার টোনারচর গ্রামের গরু ব্যবসায়ী লাবলু মোল্যা লোহাগড়া উপজেলার নলদী ইউনিয়নের চরবালিদিয়া এলাকায় আত্নীয় বাড়ি হওয়ার সুবাধে ওই গ্রামের কাবীর মুসল্লির একটি গরু ৯৫ হাজার টাকায় দামদর ঠিক করে ১০ হাজার টাকা বায়না করে গরু নিয়ে যান এবং বাকি ৮৫ হাজার টাকা পরে দিয়ে যাবেন। ওই গরু ব্যবসায়ী এলাকার আত্নীয় হবার কারনে গরুর মালিক বাবুল মুসল্লি তাকে গরু দিয়ে দেন। এরপর লাবলুর কাছে বিভিন্ন ভাবে পাওয়া টাকা চাইলে তিনি টাকা দিতে গড়িমাসি করেন। এ নিয়ে গরুর মালিকসহ তার ছেলেরা কয়েকবার ওই গরু ব্যবসায়ীর বাড়িতে গেলেও তিনি পাওয়া টাকা দেননি।
এদিকে শুক্রবার (১০ জানুয়ারি) সন্ধায় বাবুল মুসল্লি ও স্থানীয়রা তাকে পেয়ে পাওনা টাকার জন্য আটকান এসময় তার কাছে কোন টাকা পয়সা নেই বলে জানান তিনি। পরে ঘটনাটি জানিয়ে তার স্ত্রীকে ফোন করে টাকার কথা বল্লে তিনি টাকা নিয়ে আসতে চান। অনেক রাত হওয়ার পরেও তিনি না আসলে ঘটনাটি নলদি পুলিশ ফাঁড়িতে জানানো হয়। পরেরদিন শনিবার (১১ জানুয়ারি) সকালে লাবলুকে তারা নলদী পুলিশ ফাঁড়িতে নিয়ে যাওয়ার সময় প্রতিমধ্যে পুলিশ তাকে নিয়ে যায়।
গরু বিক্রেতা কাবীর মুসল্লি ঢাকা মেইলকে জানান, ‘ এক বছর আগে আমি লাবলুর কাছে গরু বিক্রি করিছি অনেকবার টাকা চাইছি টাকা দেয়না। আমরা তার কাছে শুধু পাওনা টাকা চাইছি। তার কাছে ৩ লাখ ৭০ টাকা তার কাছে ছিলো এটা মিথ্যা কথা। তার কাছে কোন টাকা পয়সা ছিলো আর আমরা তার কাছে শুধু গরুর বিক্রির বাকি ৮৫ হাজার টাকা চাইছি।’
গরু বিক্রেতা কাবির মুসল্লির ছেলে পাইলট মুসল্লি ঢাকা মেইলকে বলেন, আমার আব্বা লাবলুর কাছে গরু বিক্রি করে তার ৮৫ হাজার টাকা না দেয়ায় আমরা তাকে আটকাই এবং সেই টাকা দাবি করি। তাকে আমরা যখন ধরি তার কাছে কোন টাকা ছিলো না। কিন্তু সে যে অভিযোগ করছে আমরা তার কাছ থেকে টাকা নিছি এটা সত্য নয়।
চর-বালিদিয়া গ্রামের মাতুব্বর রাজু মুন্সি ঢাকা মেইলকে বলেন, গরু বিক্রির টাকা নিয়ে লাবলুর শশুর বাড়ির লোকজনদের টাকার কথা বলা হলেও তারা কোন পদক্ষেপ নেননি। লাবলুকে আটকে তাদের জানানো হলে তারা বলে যে ওকে শিকল দয়ে বেধে আটকে রাখো টাকা না দিলে পরে বিষয়টি নলদী পুলিশ ফাঁড়িকে জানানো হলে ফাঁড়ি আইসি মুরসালিন বিষয়টি স্থানীয়ভাবে সমাধানের জন্য বলেন। শনিবার লাবলু মোল্যাকে নলদী পুলিশ ফাঁড়িতে নিয়ে যাওয়ার পথে ফাঁড়ির পুলিশ তাকে নিয়ে যায়।
এ ঘটনায় গরু ব্যবসায়ী লাবলুর ২ টি ভিডিও বক্তব্য ঢাকা মেইলের হাতে এসেছে, যেখানে ঘটনার দিন তাকে আটকের সময় জিজ্ঞাসাবাদে তিনি স্বিকার করেন যে তার কাছে কোন টাকা কোন টাকা পয়সা নেই। অন্য একটি ভিডিওতে গরু বিক্রেতা তার কাছে গরু বিক্রির ৮৫ হাজার টাকা পাবেন এটা স্বিকার করছেন।
এ ব্যাপারে নলদী পুলিশ ফাঁডির ইনচার্জ মুরসালিন বলেন, শুক্রবার রাত ১১ টার দিকে চর-বালিদিয়া গ্রামের রাজু মুন্সি আমাকে ফোনে জানায় যে আমরা একজন আটকে রাখছি টাকা পাবো সেজন্য। আমি তাদের বলি টাকা পাবেন সেজন্য কাউকে আটকে রাখা যাবেনা। যদি টাকা পান এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তি নিয়ে বিষয়টি মিমাংসা করে নেন তবে কাউকে আটকে রাখতে পারবেন না। পরেরদিন শনিবার লোহাগড়া থানায় অভিযোগের ভিত্তিতে ওসি স্যারের নির্দেশে ভিকফিম উদ্ধারের জন্য যাওয়ার পথে রাজু মুন্সির সাথে দেখা হয়। তার সাথে আমরা ভিকটিম লাবলু মোল্যাকে পেয়ে উদ্ধার করে পরিবারের কাছে হস্তানন্তর করি।
লোহাগড়া থানার ওসি মো.আশিকুর রহমান জানান, এঘটনায় গরু ব্যবসায়ী লাবলু মোল্যার স্ত্রী একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। আমরা তদন্ত করছি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।