২২ কার্তিক (৭ নভেম্বর) : এস এম মিলন স্টাফ রিপোর্টার:
নড়াইলের লোহাগড়ায় প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে বিনামূল্যে বীজ ও সার বিতরণ করা করেছে উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ দপ্তর। চলতি রবি মৌসুমে ৭ হাজার ১০০ কৃষকের মাঝে উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষে গম, ভূট্টা, সরিষা, চিনাবাদাম, মসুর, খেসারী ও সূর্যমুখীর বীজ বিতরণ করা হয়।
৬ নভেম্বর রবিবার বিকালে উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের আয়োজনে বীজ ও সার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নড়াইল জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর নড়াইলের উপ-পরিচালক দীপক কুমার রায়ের সভাপতিত্বে স্বাগত বক্তব্য রাখেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ফারজানা আক্তার,জেলা ফিসারিজ কর্মকর্তা, বক্তব্য রাখেন। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন সাংবাদিক সৈয়দ খায়রুল আলম, কাজি আশরাফ, জহুরুল হক মিলু,শাহিনুজ্জামান প্রমুখ।
উপকরণ বিতরণ অনুষ্ঠানের ব্যানারে বিশেষ অতিথির নামের তালিকায় উপজেলা কর্মকর্তাদের নাম থাকলেও অনুষ্ঠানে কাউকে দেখা যায়নি।
বিজ বিতরণ কর্মসূচিতে কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, ৫ হাজার কৃষকের মাঝে ১ কেজি করে সরিষা বীজ, ১০ কেজি করে ডিএপি এবং ১০ কেজি করে এমওপি সার, ৯শ কৃষকের মাঝে জনপ্রতি ২০ কেজি গম বীজ, ১০ কেজি করে ডিএপি এবং ১০ কেজি করে এমওপি সার, ১শ কৃষকের মাঝে জনপ্রতি ২ কেজি ভূট্টা বীজ, ২০ কেজি ডিএপি, এবং ১০ কেজি এমওপি সার, ৫শ কৃষকের মাঝে জন প্রতি ১০ কেজি চিনাবাদাম বীজ, ১০ কেজি ডিএপি এবং ৫ কেজি করে এমওপি সার, ১শ ৫০জন কৃষকের মাঝে জনপ্রতি ৫ কেজি মসুর বীজ, ১০ কেজি ডিএপি এবং ৫ কেজি এমওপি সার, ২শ ৫০ জন কৃষকের মাঝে জন প্রতি ৮ কেজি খেসারী বীজ, ১০ কেজি ডিএপি এবং ৫ কেজি এমওপি সার এবং ২শ কৃষকের মাঝে জনপ্রতি ১ কেজি সূর্যমুখী বীজ ১০ কেজি ডিএপি এবং ১০ কেজি এমওপি সার বিতরণ করা হয়।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর উপপরিচালক দীপক কুমার রায় কৃষকদের বীজ বপনের কলা কৌশল সম্পর্ক বিস্তারিত জানান। তিনি বলেন এসকল বীজ বপনের পর পরিচর্যা করলে কৃষকরা লাভবান হবেন তাই এটা যেন কোন ভাবেই রোপণ না করে বিক্রয় করবেন না। এ বিষয়ে মাঠ কর্মীরা খোঁজ খবর রাখবেন।
এসময় উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকরা উপস্থিত থেকে বিজ সংগ্রহ করেন।