এস এম মিলন স্টাফ রিপোর্টার :

চলতি মৌসুমে নড়াইল জেলার তিনটি উপজেলায় সদর, লোহাগড়া ও কালিয়ায় আমন ধানের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছে কৃষি বিভাগ। জেলার কৃষকরা বর্তমানে ধান কাটা ও মাড়াইয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন। এবার মোট আবাদ হওয়া প্রায় ৫০ শতাংশ জমির ধান ইতোমধ্যে কাটা সম্পন্ন হয়েছে।

নড়াইল জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে জেলার তিনটি উপজেলায় রোপা আমন ধান চাষাবাদের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৪২ হাজার ২৫ হেক্টর জমিতে। কৃষি বিভাগের তৎপরতা ও কৃষকদের আগ্রহে আমন চাষাবাদ হয়েছে ৪২ হাজার ৯০ হেক্টর জমিতে। লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৬৫ হেক্টর বেশি জমিতে আমনের চাষ হয়েছে। আবাদ হওয়া জমিতে উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১ লাখ ২৪ হাজার ৩১৩ টন চাল।

বিগত কয়েক বছর যাবত ধানের উৎপাদন ও মূল্য ভালো পাওয়ায় জেলার কৃষকরা বেশ খুশি। এছাড়াও চলতি মৌসুমে সদর উপজেলায় ১৯ হাজার ৮৬০ হেক্টর জমিতে, লোহাগড়া উপজেলায় ১১ হাজার ৪৫ হেক্টর জমিতে এবং কালিয়া উপজেলায় ১১ হাজার ১৮৫ হেক্টর জমিতে রোপা আমনের চাষাবাদ হয়েছে।

লোহাগড়া উপজেলার বয়রা গ্রামের কৃষক মো.ইলিয়াস মোল্লা জানান, নিয়মিত পরিচর্যা ও সময়মতো সার প্রয়োগের ফলে ফলন ভালো হয়েছে। তবে শ্রমিক সংকট থাকায় জমি থেকে ধান কাটতে সময় বেশি লাগছে। ধান কাটার ব্যয়ও বেড়েছে। যারা হারভেস্টার মেশিন দিয়ে ধান কাটতে পারছেন, তারা স্বল্প সময়ে ও কম খরচে ধান ঘরে তুলতে পারছেন।

এ বিষয়ে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিপ্তরের উপ-পরিচালক দীপক কুমার রায় বলেন, সরকারের পক্ষ থেকে কৃষকদের বিনামূল্যে কৃষি প্রণোদনা দেয়ায় প্রতিবছর রোপা আমন চাষাবাদে আগ্রহী হচ্ছেন তারা। রোপা আমন কাটা শেষে কৃষকরা বোরো ধান চাষাবাদের প্রস্তুতি নিবেন। বর্তমানে বাজারে ধান ও চালের দাম সন্তোষজনক পর্যায়ে রয়েছে। আমন ধান কেটে ঘরে তোলা পর্যন্ত আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে চলতি মৌসুমে আমনের বাম্পার ফলন হবে বলে জানান তিনি।