ঢাকা, ৩১ আষাঢ় (১৫ জুলাই) :

স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মোঃ তাজুল ইসলাম বলেছেন, নদীকে দূষণমুক্ত রাখতে শুধু শিল্প-কলকারখানার নয় গৃহস্থালি, মেডিকেল এবং কৃষিসহ সব ধরনের বর্জ্য ফেলা বন্ধ করতে হবে।

আজ অনলাইন প্ল্যাটফর্ম জুম অ্যাপে মেঘনা নদীর জন্য মাস্টারপ্ল্যান তৈরির লক্ষ্যে গঠিত উচ্চপর্যায়ের কমিটির ওয়ার্কশপে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এ কথা বলেন।

ওয়ার্কশপে ইনস্টিটিউট অভ্ ওয়াটার মডেলিং (আইডব্লিউএম) মাস্টারপ্ল্যানের জন্য প্রণীত ইনসেপশন রিপোর্ট উপস্থাপন করা হয়। সহযোগী প্রতিষ্ঠান হিসেবে ছিল সেন্টার ফর এনভায়রমেন্টাল এন্ড জিওগ্রাফিক ইনফরমেশন সার্ভিসেস (সিইজিআইএস)।

ঢাকার চারপাশসহ দেশের নদীগুলোতে পয়ঃবর্জ্য ও শিল্পবর্জ্যসহ অন্যান্য কলকারখানার বর্জ্য নিয়মিতভাবে নিক্ষেপ করায় নদীর পানি দূষিত হচ্ছে। এতে করে পানির গুণগতমান নষ্ট হওয়ার পাশাপাশি মৎস্য প্রজনন ব্যাপক বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। তাই সরকার ঢাকার চারপাশসহ অন্য নদীগুলো দখলমুক্ত, দূষণরোধ এবং নাব্যতা ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে মাস্টারপ্ল্যান প্রণয়ন করছে ।

মন্ত্রী আরো বলেন, মেঘনা নদী যাতে দূষণ ও দখলের কবলে না পড়ে এবং ভবিষ্যৎ চাহিদা ও চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা যায় সে লক্ষ্যেই মাস্টারপ্ল্যান করা হচ্ছে। এটি প্রণীত হলে মেঘনা নদীকে রক্ষা করা সম্ভব হবে বলেও উল্লেখ করেন। তিনি জানান, ঢাকা শহরে পানি সরবরাহের লক্ষ্যে মেঘনা নদী থেকে পানি উত্তোলন করবে ঢাকা ওয়াসা। কিন্তু কি পরিমাণ পানি তোলা হলে নদী তার স্বকীয়তা হারাবে না, এ সম্পর্কে সরকারের কোনো সুনির্দিষ্ট স্টাডি রিপোর্ট নেই। এই মাস্টারপ্ল্যানে সেগুলো অন্তর্ভুক্ত করা হবে। এলক্ষ্যে পরামর্শকদের প্রয়োজনীয় নির্দেশনা প্রদান করেন মন্ত্রী।

স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দীন আহমদের সভাপতিত্বে এবং ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী তাকসিম এ খানের সঞ্চালনায় কর্মশালায় AFD, KFW, EIB, ADB সহ বিভিন্ন উন্নয়ন সহযোগী দেশের প্রতিনিধিগণ ছাড়াও বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের সচিবগণ, বিভিন্ন সরকারি দপ্তর ও সংস্থার প্রধান এবং সংশ্লিষ্ট জেলার জেলা প্রশাসকগণ অংশগ্রহণ করেন।

উল্লেখ্য, এ বছরের শুরুতে মেঘনা নদীকে দখল, দূষণ এবং নাব্যতা সংকট থেকে রক্ষা করতে একটি মহাপরিকল্পনা প্রণয়নের লক্ষ্যে ঢাকা ওয়াসার সার্বিক তত্ত্বাবধানে আইডব্লিউএম এবং সিইজিআইএস- এর সাথে চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।