ঢাকা, ২ কার্তিক (১৮ অক্টোবর) :
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, নবায়ণযোগ্য
জ্বালানির প্রসারকে বাংলাদেশ সর্বাত্মকভাবে সমর্থন করে পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। বাংলাদেশে
নবায়ণযোগ্য জ্বালানির মধ্যে সৌর শক্তির বা সৌর বিদ্যুতের সম্ভাবনাই বেশি। বর্জ্য থেকে
বিদ্যুৎ ও বায়ু থেকে বিদ্যুৎ নিয়েও কাজ করা হচ্ছে।
প্রতিমন্ত্রী আজ National Energy Administration of the People’s Republic of China
(NEA) আয়োজিত Second Belt and Road Energy Ministerial Conference এর ‘প্রযুক্তি উদ্ভাবনে
সহযোগিতার মাধ্যমে জ্বালানির রূপান্তরকে ত্বরান্বিত করা’ (Speeding up Energy Transition
with Cooperation in Technology Innovation) শীর্ষক সেশনে ভিডিও বার্তায় বক্তব্যকালে এসব কথা
বলেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশ প্যারিস জলবায়ু চুক্তি এবং জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়নের
এজেন্ডার স্বাক্ষরকারী হিসাবে পরিচ্ছন্ন জ্বালানির রূপান্তরের জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা
করছে। বাংলাদেশের বার্ষিক মাথাপিছু কার্বন নিঃসরণ ০.৪ মেট্রিক টন, যেখানে বিশ্বের গড়
৪.৫ মেট্রিক টন। একটি কার্বন নিরপেক্ষ জাতি হতে প্রতিশ্রুতির অংশ হিসেবে ইতিমধ্যে
৮৪৫১ মেগা-ওয়াট (MW) ক্ষমতার ১০টি কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধ করার
সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। বায়ুর ম্যাপিং নয়টি সাইটে করা হয়েছে এবং খুব শীঘ্রই অফ-শোর
বাতাসের সম্ভাবনা নিয়ে একটি গবেষণা করা হবে।
বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে বিদ্যমান দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা আওতায় দীর্ঘস্থায়ী
বাণিজ্য ও বিনিয়োগের পথ ধরে তেল, গ্যাস এবং কয়লা খাতে উন্নয়নের জন্য উভয় দেশের
সহযোগিতা বাড়ানো যেতে পারে। তেল ও গ্যাস খাত সংক্রান্ত দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতার
সম্ভাব্য ক্ষেত্র হতে পারে, উপকূলীয় এবং তীরবর্তী অঞ্চলে (পাহাড়ী অঞ্চল) তেল ও
গ্যাস অনুসন্ধানে সহযোগিতা ও চীনা কোম্পানিগুলির আসন্ন পিএসসি বিডিং রাউন্ডে
অংশগ্রহণ।
সেশনটিতে, প্রযুক্তি উদ্ভাবন গ্রিন এনার্জির খরচ কমায়, কার্বন নিঃসরণ ও জ্বালানি
নিরাপত্তার উপাদানগুলোকে আরো ভালভাবে সামঞ্জস্য করে এমন নতুন সমাধানগুলি
অন্বেষণ করা, সবুজ শক্তির সাধারণ প্রযুক্তির ওপর যৌথ গবেষণায় প্রচেষ্টা বাড়াতে
সহযোগিতা করা, জ্বালানি প্রযুক্তির উদ্ভাবন নেটওয়ার্ক বৃদ্ধি, উদ্ভাবনী প্রযুক্তিগত
সাফল্যের মসৃণ সীমান্ত প্রয়োগ ইত্যাদি বিষয়ে আলোকপাত করা হয়েছে।