ঢাকা, ১ মাঘ (১৫ জানুয়ারি):

কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. মোঃ আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন,
নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচন হবে অত্যন্ত সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণ। যা
জাতীয় পর্যায়ে একটি উদাহরণ সৃষ্টি করবে। সেলক্ষ্যে সরকার নির্বাচন কমিশনকে সর্বাত্মক
সহযোগিতা প্রদান করেছে। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীও সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও সুন্দর নির্বাচন অনুষ্ঠানের
জন্য তাদের অবস্থান থেকে দায়িত্ব পালন করবে।

আজ বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে প্রয়াত কৃষিবিদ শওকত মোমেন
শাহজাহান, কৃষিবিদ আব্দুল মান্নান ও কৃষিবিদ বদিউজ্জামান বাদশার স্মরণসভায় সভাপতির
বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন। বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাই এসোসিয়েশন এ
অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

এতে কৃষিমন্ত্রী ও বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাই এসোসিয়েশনের সভাপতি ড.
আব্দুর রাজ্জাকের সভাপতিত্বে ভার্চুয়ালি বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর
সদস্য আমির হোসেন আমু। এছাড়া অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান, মৎস্য ও
প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম, সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ, হুইপ
আতিউর রহমান আতিক উপস্থিত ছিলেন। কৃষিবিদ ড. আওলাদ হোসেনের সঞ্চালনায় বাংলাদেশ
কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাই এসোসিয়েশনের নির্বাহী সভাপতি মোঃ হামিদুর রহমান, সাহাদারা
মান্নান এমপি, অনুপম শাহজাহান জয়, রাগিব হাসান ভাষণ  প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। এতে
সর্বস্তরের কৃষিবিদরা উপস্থিত ছিলেন।

কৃষিমন্ত্রী আরো বলেন, কৃষিবিদদের অবদান আজ জাতীয় পর্যায়ে স্বীকৃত। স্বল্প জমি
থেকে ১৭ কোটি মানুষের খাদ্যের যোগান দেয়াতে কৃষিবিদদের ভূমিকা অনন্য। জাতীয় রাজনীতি ও
ক্রান্তিলগ্নে অতীতে যেভাবে তারা ভূমিকা রেখেছে, সামনের দিনগুলোতেও সে ভূমিকা পালন করতে
হবে। দেশের বিরূদ্ধে এখনো ষড়যন্ত্র হচ্ছে, মিথ্যাচার ও অপপ্রচার হচ্ছে। এসব অপশক্তিকে
মোকাবেলায় কৃষিবিদদেরকে ঐক্যবদ্ধভাবে এগিয়ে আসতে হবে। কৃষিবিদদের সুনাম অক্ষুণ্ন
রাখতে হবে।

আমির হোসেন আমু স্মৃতিচারণ করে বলেন, প্রয়াত কৃষিবিদ শওকত মোমেন শাহজাহান,
কৃষিবিদ আব্দুল মান্নান ও কৃষিবিদ বদিউজ্জামান বাদশার সাথে অনেক আন্দোলন সংগ্রাম
করেছি। তাদের সাথে আমার গভীর সম্পর্ক ছিল। রাজনীতি সম্পর্কে তাদের অত্যন্ত স্বচ্ছ ধারণা
ছিল, সৎসাহস ও দৃঢ়তা ছিল। তিনি আরো বলেন, দেশের কৃষিবিদরা যেমন জাতীয় রাজনীতি ও

নেতৃত্বে অবদান রেখেছে, তেমনি বিভিন্ন জায়গায়, বিভিন্ন পেশাগত কাজে দক্ষতা ও সফলতার
পরিচয় দিচ্ছেন। এটি কৃষিবিদদের জন্য, আমাদের জন্য গৌরবের ও সম্মানের।
আমির হোসেন আমু আরও বলেন, জিয়াউর রহমান ময়মনসিংহে ১১ জন ছাত্রকে হত্যার
মাধ্যমে ছাত্র রাজনীতির উপর আঘাত করেন। সেই দুঃসময়ে প্রয়াত এই তিন নেতা মৃত্যুর ঝুঁকি
নিয়ে ছাত্র রাজনীতি ধরে রাখেন, সংগঠনকে শক্তিশালী করেন। শুধু তাই নয়, ময়মনসিংহের সাথে
সাথে জাতীয় রাজনীতিতেও সেসময়ে ভূমিকা রাখেন।