ঢাকা, ২৪ কার্তিক (৯ নভেম্বর):
খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, নিরাপদ খাদ্য উৎপাদন,
প্রক্রিয়াজাতকরণ, সংরক্ষণ, বিপনন এবং খাবার হিসেবে গ্রহণের সুঅভ্যাস তৈরির
প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে সরকার। জনসচেতনতা এই প্রচেষ্টাকে আরো সার্থক ও সফল করতে
পারে। এসময় তিনি দেশের মানুষের জন্য নিরাপদ খাবার নিশ্চিত করতে গণমাধ্যমকর্মীদের
ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান।
আজ ঢাকায় ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলে নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ আয়োজিত :
;নিরাপদ খাদ্য আইন, ২০১৩ ও বিধি-প্রবিধি সম্পর্কে অবহিতকরণ এবং জনসচেতনতা
সৃষ্টিতে গণমাধ্যম; শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, উৎপাদন থেকে শুরু করে খাদ্যশৃঙ্খলের সকল পর্যায়ে খাদ্যের
নিরাপত্তা রক্ষা করা এখন সময়ের দাবি। নিরাপদ খাবার নিশ্চিত হলেই একটি সুস্থ, সবল,
কর্মঠ এবং মেধাবী জনগোষ্ঠী তৈরি করা সম্ভব হবে। আর সেই লক্ষ্যেই ২০১৩ সালে
প্রণয়ন করা হয় নিরাপদ খাদ্য আইন-যা কার্যকর হয় পহেলা ফেব্রুয়ারি ২০১৫ সালে।
খাদ্যমন্ত্রী জানান, আট বিভাগে মোবাইল ল্যাবরেটরি স্থাপন করা হচ্ছে। এর ফলে
উপজেলা পর্যায়ে খাদ্য পরীক্ষা করে তা নিরাপদ কিনা তা জনগণকে অবহিত করা সম্ভব হবে।
অচিরেই নারায়ণগঞ্জে জাইকার অর্থায়নে এশিয়ার বৃহৎ টেস্টিং ল্যাবরেটরি স্থাপন হতে
যাচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এর ফলে খাদ্যের মান নির্ণয় করে সনদ প্রদান সহজ হবে।
এসময় তিনি যার যার অবস্থান থেকে নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতে ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান।
বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মোঃ আব্দুল কাইউম সরকার এর
সভাপতিত্বে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মোছাম্মৎ নাজমানারা খানুম এবং চ্যানেল আই
এর পরিচালক ও বার্তা সম্পাদক শাইখ সিরাজ বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন। সেমিনারে মূল
প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক ড. মো: ইকবাল
রউফ মামুন। সেমিনারে সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা, প্রিন্ট ও ইলেকট্রিক মিডিয়ার
প্রতিনিধি এবং হোটেল রেস্তোরা মালিক সমিতির নেতৃবৃন্দ অংশ নেন।