ঢাকা, ১৪ পৌষ (২৯ ডিসেম্বর) :

আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, নির্বাচন কমিশন গঠনের
জন্য আইন হোক- তা তিনিও চান। কিন্তু এবার সে সময় নেই, আর সংসদকে পাশ কাটিয়ে অধ্যাদেশ
জারি করা সঠিক হবে না।

আজ রাজধানীর সেগুনবাগিচায় বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (ক্র্যাব)
বার্ষিক সাধারণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

আইনমন্ত্রী বলেন, ইসি গঠন নিয়ে রাষ্ট্রপতি তাঁর সংলাপ শুরু করে দিয়েছেন। তিনি যে
সিদ্ধান্ত দেবেন সে সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আগামী নির্বাচন কমিশন গঠন হবে। রাষ্ট্রপতি রাজনৈতিক
দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করে নামের প্রস্তাব নেবেন। এর মাধ্যমে হবে সার্চ কমিটি। সেই সার্চ
কমিটি যেসব নাম প্রস্তাব করবে, তাদের মধ্যে থেকে রাষ্ট্রপতি নতুন ইসি গঠন করে দেবেন। এই
সার্চ কমিটির সদস্য হবেন, আপিল বিভাগের একজন সিনিয়র বিচারপতি, হাইকোর্টের একজন
বিচারপতি, পাবলিক সার্ভিস কমিশনের চেয়ারম্যান এবং কম্পট্রোলার এন্ড অডিটর জেনারেল।
এরা সবাই সাংবিধানিক পদে অধিষ্ঠিত। আর দুজন হবেন সিভিল সোসাইটির সদস্য।
সার্চ কমিটিতে রাজনৈতিক দলের কেউ নেই। সরকারি দলের কেউ নেই। সার্চ কমিটি
দশজনকে নির্বাচন করে রাষ্ট্রপতির কাছে নাম পাঠাবেন। সুতরাং নির্বাচন কমিশন গঠন নিয়ে
কোনো বিতর্ক করার অবকাশ আছে বলে মনে হয় না বলেও উল্লেখ করেন আইনমন্ত্রী।
মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের প্রয়োজন আছে। কিন্তু এর কিছু
অপব্যবহার ও দুর্ব্যবহার হয়েছে। এটা যাতে বন্ধ হয় সেজন্য পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। এখন
কোনো সাংবাদিককে মামলা হবার সঙ্গে সঙ্গে গ্রেফতার করা হয় না। আগে যাচাই-বাছাই হয়।
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাক-স্বাধীনতা ও সংবাদ মাধ্যমের স্বাধীনতা খর্ব করার জন্য করা
হয়নি।

আনিসুল হক বলেন, দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্ব সবার। সাংবাদিক ও আইনশৃঙ্খলা
বাহিনীর মধ্যে যে সুসম্পর্ক, তা খুবই গভীর। আমাদের দেশে যত টকশো হয়, এত টকশো অন্য
দেশের গণমাধ্যমে হয় না। বাক-স্বাধীনতা নাই তা বলা যাবে না। বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতাও হচ্ছে।
ক্র্যাব সভাপতি মিজান মালিকের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আলাউদ্দিন আরিফের
সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব) এর মহাপরিচালক চৌধুরী
আবদুল্লাহ আল-মামুন, দৈনিক যুগান্তর পত্রিকার সম্পাদক সাইফুল আলম, ঢাকা রিপোর্টার্স
ইউনিটির সভাপতি নজরুল ইসলাম মিঠু প্রমুখ বক্তৃতা করেন।