ঢাকা, ২৪ আষাঢ় (৮ জুলাই) :
স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মোঃ তাজুল ইসলাম বলেছেন, সরকারি-বেসরকারি যে প্রতিষ্ঠানই
হোক না কেন নির্মাণাধীন, পরিত্যক্ত বা যেকোন ভবনে পানি জমিয়ে রেখে ডেঙ্গু প্রজননে সহায়ক
ভূমিকা রাখলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে দু-একদিনের মধ্যেই
ঢাকা উভয় সিটি কর্পোরেশনে ম্যাজিস্ট্রেটের মাধ্যমে জোরালোভাবে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা
করা হবে।  এছাড়া, আগামী সোমবার এডিস মশা নিয়ন্ত্রণে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে জরুরি সভা
ডাকা হয়েছে বলেও জানান মন্ত্রী।
মন্ত্রী আজ সরকারি বাসভবনে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, নির্মাণাধীন ও পরিত্যক্ত ভবন অথবা বাসার ছাদ, আঙিনা, ফুলের টব,
ফ্রিজ-এয়ারকন্ডিশনে কোনো অবস্থাতেই যেন জমা পানি না থাকে সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।
কারণ তিন দিনের বেশি জমানো পানিতে মশা প্রজনন হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। নির্মাণাধীন এবং
পরিত্যক্ত ভবনই হচ্ছে এডিস মশার প্রধান ঊর্বর জায়গা উল্লেখ করে তিনি বলেন, এসব জায়গায়
জমানো পানিতে লার্ভিসাইড অথবা দশ হাজার স্কয়ার ফিট জায়গায় আড়াইশ গ্রাম কেরোসিন ঢেলে
দিয়ে মশার প্রজনন ধ্বংস করা সম্ভব।
এ প্রসঙ্গে মো. তাজুল ইসলাম বলেন, মানুষকে বার বার এসব বিয়য়ে সচেতন করার পরেও
অনেকে আমলে নিচ্ছেন না। তাই উভয় সিটি কর্পোরেশনে দশ জন করে ম্যাজিস্ট্রেট পদায়ন করা
হয়েছে এবং আগামীকাল থেকে তারা অভিযান পরিচালনা করবে। যারা নির্দেশনা অমান্য করবে তাদের
বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিবেন বা জরিমানা করবেন।
মো. তাজুল ইসলাম আশা প্রকাশ করে বলেন, সবাই মিলে এক সাথে কাজ করলে এডিস মশা
নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। জনগণকে এ ব্যাপারে সচেতন করার জন্য ব্যাপক প্রচার প্রচারণা চালানো
হচ্ছে। উভয় সিটি কর্পোরেশনের মেয়র অত্যন্ত আন্তরিকতার সাথে কাজ করছেন বলেও জানান
তিনি।
মন্ত্রী নিজে অনেক নির্মাণাধীন ভবন, বাসা-বাড়ি পরিদর্শন করেছেন উল্লেখ করে জানান,
এখন দরকার মানুষের সচেতনতা। সচেতন না হলে প্রতিরোধ করা কঠিন হবে। শুধু অভিযান চালিয়ে
মশা নিয়ন্ত্রণ সম্ভব নয়।