ঢাকা, ১০ অগ্রাহায়ণ (২৫ নভেম্বর ) :
নারী ও শিশুর প্রতি সহিংসতা, নির্যাতন ও বাল্যবিয়ে নারীর অধিকারের বিরুদ্ধে সংঘটিত
অপরাধ। যা নারীকে, তার অধিকার থেকে বঞ্চিত করছে। নারী নির্যাতন ও সহিংসতা নারীদের
শিক্ষাসহ অর্থনৈতিক ও সামাজিক সকল ধরণের অগ্রযাত্রাকে বাধাগ্রস্ত করছে বলে জানিয়েছেন
মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা।
প্রতিমন্ত্রী আজ ঢাকায় বাংলাদেশ শিশু একাডেমির সভাকক্ষে মহিলা ও শিশু বিষয়ক
মন্ত্রণালয় এবং লোকাল কনসালটেটিভ গ্রুপ অন উইমেন এডভ্যান্সমেন্ট এন্ড জেন্ডার
ইক্যুয়ালিটি এর যৌথ আয়োজনে জেন্ডারভিত্তিক সহিংসতা প্রতিরোধে ১৬ দিনব্যাপী কর্মসূচির
উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, নারী নির্যাতন ও সহিংসতা বন্ধ করতে সরকারের সাথে বেসরকারি
সংস্থা, উন্নয়ন সহযোগী, নাগরিক সমাজ, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, জনপ্রতিনিধি ও গনমাধ্যমকে
একসাথে কাজ করতে হবে। সকলের সম্মিলিত উদ্যোগে, আমরা নারী ও শিশুর প্রতি সকল ধরণের
নির্যাতন ও সহিংসতামুক্ত দেশ ও পৃথিবী প্রতিষ্ঠা করতে পারব বলে তিনি উল্লেখ করেন।
ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা বলেন, জেন্ডারভিত্তিক সহিংসতা প্রতিরোধ করতে সরকার
বদ্ধপরিকর। এলক্ষ্যে সরকার পারিবারিক সহিংসতা প্রতিরোধ ও সুরক্ষা আইন, বাল্য বিয়ে
নিরোধ আইন, যৌতুক নিরোধ আইন, ডিএনএ আইন এবং নারী ও শিশু নির্যাতন দমন (সংশোধন)
আইন, ২০২০ প্রণয়ন করেছে। সংশোধিত শিশু নির্যাতন দমন আইনে অভিযুক্ত ব্যক্তি এবং
অপরাধের শিকার ব্যক্তির ডিএনএ পরীক্ষা বাধ্যতামূলক এবং ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদন্ড
করা হয়েছে। তিনি বলেন, আইনের কঠোর বাস্তবায়নের মাধ্যমে অপরাধীদের শাস্তি দ্রুত নিশ্চিত
করা হচ্ছে।
প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, ঢাকাসহ বিভাগীয় শহরের সরকারি হাসপাতালগুলোতে ডিএনএ
প্রোফাইলিং ও স্ক্রিনিং ল্যাবরেটরি স্থাপন করা হয়েছে। নারী ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধে
আন্ত:মন্ত্রণালয় ও বিভাগীয় পর্যায়ে কমিটি গঠন করা হয়েছে। পাশাপাশি জেলা, উপজেলা ও
ইউনিয়ন পর্যায়ে কমিটিগুলো পূণর্গঠন ও সক্রিয় করা হয়েছে।
মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ সায়েদুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে
বক্তব্য রাখেন জাতিসংঘের রেসিডেন্ট কো-অর্ডিনেটর মিয়া সেপ্পো ও বাংলাদেশে নিযুক্ত
ডেনমার্কের রাষ্ট্রদূত উইনি এসট্রাপ পিটারসেন।
অনুষ্ঠানে ভিডিও বার্তা প্রদান করেন ইউএসএইডের মিশন ডিরেক্টর ক্যাথারিন ডি
স্টিভেন্স, ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের হেড অভ্ ডেলিগেশন চার্লস হোয়াইটলি ও ব্রিটিশ হাইকমিশনার
রবার্ট চ্যাটার্টন ডিকশন। স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন নারী নির্যাতন প্রতিরোধে
মাল্টিসেক্টোরাল প্রোগ্রামের পরিচালক এ কে এম শামিম আক্তার।