ঢাকা, ১৬ মাঘ (৩০ জানুয়ারি) :
বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী, বীরপ্রতীক বলেছেন, অভ্যন্তরীণ বাজারে
প্রয়োজনীয় কাঁচাপাট সরবরাহ নিশ্চিতকরণ এবং পাট ও পাটজাত পণ্য রপ্তানির ধারা বেগবান
করার লক্ষ্যে নিয়মবহির্ভূত কাঁচাপাট মজুদের বিরুদ্ধে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করবে সরকার।
আজ সচিবালয়ে অফিস কক্ষে বাংলাদেশ জুট এসোসিয়েশন (বিজেএ), বাংলাদেশ জুট মিলস
এসোসিয়েশন (বিজেএমএ) ও বাংলাদেশ জুট স্পিনার্স এসোসিয়েশনের (বিজেএমএ) নেতৃবৃন্দের সাথে
আলোচনাকালে মন্ত্রী এ কথা বলেন। এসময় বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন
কর্মকর্তাগণ, বিজেএ চেয়ারম্যান শেখ সৈয়দ আলী, বিজেএমএ চেয়ারম্যান মোঃ আবুল হোসেন,
বিজেএসএ চেয়ারম্যান সেখ নাসিরউদ্দিনসহ নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
মন্ত্রী বলেন, সম্প্রতি দেশে কাঁচাপাটের সংকটের কারণে পাটকলসমূহ উৎপাদন ঝুঁকিতে
পড়েছে। এ অবস্থায় পাট ও পাটজাত পণ্যের রপ্তানি আয়ের ধারা অব্যাহত রাখার জন্য কাঁচাপাটের
সরবরাহ নিশ্চিত করতে সরকার কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। এজন্য লাইসেন্সবিহীন অসাধু
ব্যবসায়ীদের কাঁচাপাট ক্রয়-বিক্রয় ও মজুদ থেকে বিরত রাখা; ভেজাপাট ক্রয়-বিক্রয় রোধ করা;
বাজারে কাঁচাপাটের সরবরাহ নিশ্চিত করার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে পাট অধিদপ্তরকে
নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে বলে জানান তিনি। তিনি বলেন, কাঁচাপাটের ডিলার ও আড়তদারগণ এক
হাজার মনের বেশি কাঁচাপাট এক মাসের বেশি সময় ধরে মজুদ করতে পারবে না।
চলতি পাট মৌসুমে লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী পাট চাষ নিশ্চিতকরণে বীজ সরবরাহ সঠিক রাখতে
কার্যকর পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, মানসম্মত পাটবীজ উৎপাদনে
স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনে পাঁচ বছরের জন্য কৃষি মন্ত্রণালয় এবং বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় যৌথ
উদ্যোগে একটি রোডম্যাপ তৈরি করেছে । সবকিছু ঠিক থাকলে ২০২৫ সালের মধ্যে বাংলাদেশ
উন্নত পাটবীজ উৎপাদনে স্বনির্ভর হবে। তিনি বলেন, প্রয়োজনীয় পাটবীজ সংগ্রহে আমদানি
নির্ভরতা আর থাকবে না। এ পাট মৌসুম থেকে রোডম্যাপ বাস্তবায়ন শুরু হবে। ধাপে ধাপে তা
আগামী পাঁচবছরে শতভাগ বাস্তবায়ন করা হবে।
চলতি অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে পাট ও পাটজাত পণ্য রপ্তানি করে
বাংলাদেশ ৬৯৮ মিলিয়ন ডলার আয় করেছে। রপ্তানি আয়ে পাটখাত বর্তমানে চামড়াকে ছাড়িয়ে
দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে।