নেতৃত্বের পর কৃতিত্বের লড়াইয়ে জড়িয়েছেন শেখ হাসিনার পতন ঘটানো অভ্যুত্থানের নেতারা। এ নিয়ে গণতান্ত্রিক ছাত্রশক্তি ও ইসলামী ছাত্রশিবিরের সাবেক নেতাদের বাহাস গতকাল সোমবার দিনভর চলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। সাবেক কয়েকজন নেতা দাবি করেন, অভ্যুত্থানের বড় অংশীদার শিবির। তা নাকচ করে বিলুপ্ত ছাত্রশক্তির নেতারা বলেন, অন্যদের মতোই সহযোগী ছিল শিবির। অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদও এ বাহাসে জড়ান।
সরকারি চাকরিতে কোটা পুনর্বহালের প্রতিবাদে গত জুলাইয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন নামে প্ল্যাটফর্ম করে আন্দোলনে নামেন শিক্ষার্থীরা। নেতৃত্বের সামনের দিকে ছিল ২০২৩ সালের অক্টোবরে গঠিত ছাত্রশক্তি। শেখ হাসিনার শাসনামলে ধরপাকড়ের শিকার হয়ে প্রকাশ্য রাজনীতিতে না থাকা ছাত্রশিবিরের নেতাকর্মীরাও এ প্ল্যাটফর্মে যুক্ত হন। ২০১৮ সালে কোটাবিরোধী আন্দোলন করা ছাত্র অধিকার পরিষদও এতে যোগ দেয়। জুলাই-আগস্ট অভ্যুত্থানে শিবিরের ভূমিকা সে সময় সামনে আসে।
অভ্যুত্থানের নেতাদের নিয়ে গত ৮ সেপ্টেম্বর গঠিত প্ল্যাটফর্ম জাতীয় নাগরিক কমিটিতেও বিভিন্ন সংগঠন থেকে আসা নেতাকর্মী রয়েছেন। ১৮৮ সদস্যের কেন্দ্রীয় কমিটিতে বিলুপ্ত ছাত্রশক্তির নেতা, শিবিরের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক তিন সভাপতিসহ অনেকে, কওমি মাদ্রাসাভিত্তিক সংগঠন, গণঅধিকার পরিষদ, এবি পার্টি এবং বিভিন্ন বাম দল থেকে আসা নেতারা রয়েছেন। চলতি মাসেই নাগরিক কমিটির প্ল্যাটফর্ম থেকে নতুন রাজনৈতিক দল গঠনের ঘোষণা রয়েছে।
এর নেতৃত্বে কারা আসবেন, তা নিয়ে কিছু দিন ধরেই বক্তব্য, পাল্টা বক্তব্য চলছে নাগরিক কমিটিতে। সরকারের উপদেষ্টা এবং ছাত্রশক্তির প্রতিষ্ঠাতা সদস্য সচিব নাহিদ ইসলাম নতুন দলের আহ্বায়ক হচ্ছেন বলে শোনা যাচ্ছে। এখনও কমিটি হয়নি। নাহিদও তা নিশ্চিত করেননি।