চট্টগ্রাম, ৪ ভাদ্র (১৯ আগস্ট):
নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, ২০২৪ সালে বে টার্মিনালের
অপারেশন শুরু করতে চাই। বে টার্মিনালে তিনটি টার্মিনাল থাকবে। এর একটি চট্টগাম বন্দর
করবে। বাকি দুটি টার্মিনাল বৈদেশিক বিনিয়োগে হবে। দেশের স্বার্থরক্ষা করে যাদের সাথে
সমঝোতা হয় তাদেরকে বাকি দুটি টার্মিনাল নির্মাণ করতে দেয়া হবে।
প্রতিমন্ত্রী আজ চট্টগ্রামের আনন্দবাজারের সাগরতীরে চট্টগ্রাম বন্দর
কর্তৃপক্ষের আওতাধীন ‘বে-টার্মিনাল নির্মাণ’ প্রকল্প পরিদর্শনকালে এসব কথা বলেন।
এসময় অন্যান্যের মধ্যে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহাম্মদ মেজবাহ্ উদ্দিন
চৌধুরী, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের পিপিপি কর্তৃপক্ষের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা
সুলতানা আফরোজ ও চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল এম
শাহজাহান উপস্থিত ছিলেন ।
প্রতিমন্ত্রী এর আগে বে টার্মিনাল এলাকা পরিদর্শন করেন।
উল্লেখ্য, চট্টগ্রাম বন্দরের কন্টেইনার প্রবৃদ্ধিকে সামাল দিতে ‘বে-টার্মিনাল’
নির্মাণের উদ্যোগ নেয়া হয়। সেখানে দু’টি কন্টেইনার টার্মিনাল, একটি মাল্টি-পারপাস
টার্মিনাল নির্মিত হবে। বে-টার্মিনালকে বৈরী আবহাওয়া এবং সাগরের বড় ঢেউ থেকে রক্ষা
করতে পাঁচ কিলোমিটার দীর্ঘ ‘ব্রেক ওয়াটার’ নির্মিত হবে। বে-টার্মিনাল থেকে
বহিঃনোঙ্গরের দূরত্ব মাত্র এক কিলোমিটার। বিদ্যমান চট্টগ্রাম বন্দরের চেয়ে এর পরিধি
প্রায় পাঁচগুণ হবে। ১২ মিটার ড্রাফটের এবং ২৮০ মিটার দৈর্ঘ্যের জাহাজ ভিড়ানো সম্ভব
হবে।
‘বে-টার্মিনাল’ নির্মাণের জন্য প্রাথমিকভাবে প্রায় ২ হাজার ৫০০ একর জমি
প্রয়োজন হবে। এর মধ্যে ৮৭০ একর জমির প্রশাসনিক অনুমোদন পাওয়া গেছে। ব্যক্তি
মালিকানাধীন ৬৬ একর জমির অধিগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। সরকারি খাস জমি ৮০৩ একর
অধিগ্রহণের চূড়ান্ত অনুমোদন পাওয়া গেছে। বাকি ১ হাজার ৬২৯ একর জমি বে-এরিয়া থেকে
রিক্লেইম করা হবে।