১৯ কার্তিক (৪ নভেম্বর) :
বরিশাল-পটুয়াখালীসহ জেলার সকল অভ্যন্তরীণ রুটে মালিক সমিতির ডাকা অনির্দিষ্টকালের বাস ধর্মঘট চলছে। গতকাল বৃহস্পতিবার মধ্যরাত থেকে যাত্রীবাহী বাস চলাচল বন্ধের ঘোষণা দেয় পটুয়াখালী জেলা বাস-মিনিবাস মালিক সমিতি। ফলে শুক্রবার সকালে ঢাকা থেকে লঞ্চে আসা পর্যটনকেন্দ্র কুয়াকাটায় আগত যাত্রীসহ এ অঞ্চলের বিভিন্ন রুটে যাতায়াতকারী যাত্রীরা চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন।
বিএনপি নেতাদের দাবি, আগামীকাল শনিবার ৫ নভেম্বর বিএনপির বরিশাল বিভাগীয় গণসমাবেশে নেতা-কর্মী-সমর্থকদের যোগদান বাধাগ্রস্ত ও সমাবেশ বানচাল করতে পরিকল্পিতভাবে এ ধর্মঘট ডাকা হয়েছে।
পটুয়াখালী জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ও জেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাড. মজিবুর রহমান টোটন বলেন, আমাদের বরিশাল গণসমাবেশকে বানচাল করার জন্য পূর্বপরিকল্পিতভাবে রাজনৈতিক হয়রানি করার জন্য এই বাস ধর্মঘট ডাকা হয়েছে। তার পরেও আমাদের নেতা-কর্মী-সমর্থকেরা যে যেভাবে পারছে সেভাবেই বরিশাল পৌঁছাতে শুরু করেছে। গণ সমাবেশ আমরা সফল করবই। কোনোভাবেই আওয়ামী লীগ আমাদের আটকাতে পারবে না।
পটুয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক ও জেলা বাস-মিনিবাস মালিক সমিতির সভাপতি মো. রিয়াজ উদ্দিন বলেন, মহাসড়কে ত্রি-হুইলার, টমটম, নসিমন, অটোরিক্সাসহ সকল অবৈধ যানবাহন চলাচলে মহামান্য হাইকোর্টের সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা থাকলেও স্থানীয় প্রশাসন এ ব্যাপারে কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি। বিভিন্ন সময়ে এ নিয়ে তাদের সাথে সভায় দাবি জানানো হয়। কিন্ত এ ব্যাপারে তারা অজ্ঞাত কারণে কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না। ফলে সড়কে প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটে। এ কারণে মধ্যরাত থেকে তাদের অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট চলছে। ধর্মঘটে আওয়ামী লীগের দলীয় কোনো নির্দেশনা বা হস্তক্ষেপ নেই বলেও জানান রিয়াজ উদ্দিন।