পদত্যাগ করেছেন কাজী হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বাধীন পাঁচ সদস্যের নির্বাচন কমিশন। কমিশনের বাকি চার সদস্য হলেন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আহসান হাবিব খান, অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ রাশেদা সুলতানা অবসরপ্রাপ্ত জ্যেষ্ঠ সচিব মো. আলমগীর ও মো. আনিছুর রহমান।
বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টায় এক সংবাদ সম্মেলনে পদত্যাগের ঘোষণা দেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল। তবে সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন না ইসি বেগম রাশেদা সুলতানা ও মো. আনিসুর রহমান। সংবাদ সম্মেলন শেষে ইসি সদস্যরা রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা করতে যাবেন বলে জানিয়েছেন কাজী হাবিবুল আউয়াল।
বিএনপিসহ সমমনা দলগুলো নির্বাচনে অংশ না নেয়ায় ২০২৪ সালের নির্বাচন অন্তর্ভুক্তিমূলক হয়নি বলে স্বীকার করেছেন তিনি।
এদিকে, আউয়াল নেতৃত্বাধীন নির্বাচন কমিশনের পদত্যাগের ঘোষণার পরপরই বিক্ষোভ মিছিল করে বিক্ষুব্ধ জনতা। বিক্ষোভকারীরা সদ্য পদত্যাগ করা নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে বিভিন্ন স্লোগান দেন।
“নির্বাচন যেহেতু একদলীয় ছিল, কাজেই এই নির্বাচনকে সরকারিভাবে প্রভাবিত করার কোনও আবশ্যকতা ছিল না। নির্বাচন দলের ভেতরেই হয়েছে, মধ্যে হয়নি…” বলেন মিঃ আউয়াল।
নির্বাচন পদ্ধতিতে সংস্কারের প্রয়োজন হবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি। তিনি প্রতিনিধিত্বমূলক নির্বাচনের কিছু প্রস্তাবনা রাখেন। এর মাঝে “নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে” নির্বাচন হলে উদ্দেশ্য আরও সুনিশ্চিত হতে পারে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
২০২২ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি দেশের ১৩ তম সিইসি হিসেবে নিয়োগ পান সাবেক আমলা কাজী হাবিবুল আউয়াল। এই কমিশনের অধীনে গত ৭ জানুয়ারির দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন হয়। এছাড়া এই কমিশনের অধীনে স্থানীয় সরকারের বিভিন্ন নির্বাচন ও উপ নির্বাচন হয়।
পাঁচ বছরের জন্য রাষ্ট্রপতি তাদের নিয়োগ দিলেও মাঝপথেই দায়িত্ব ছেড়ে দিতে হলো।