ঢাকা, ৮ মাঘ (২২ জানুয়ারি):
নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, পদ্মা সেতুর কানেক্টিং পয়েন্ট
কমলাপুর ইনল্যান্ড কন্টেইনার ডিপোতে (আইসিডি) সংযুক্ত হলেও আইসিডি পরিচালনায় সমস্যা
হবে না। রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা করে ব্যবস্থা নেয়া হবে। প্রয়োজনে আইসিডি
অন্য জায়গায় স্থানান্তর করা হলেও শ্রমিকদের কাজের কোন সমস্যা হবে না। আমরা আরো
আইসিডি প্রতিষ্ঠা করব। সে সক্ষমতা আমাদের রয়েছে। পদ্মা সেতু একটি আত্মমর্যাদার নাম,
একটি সাহসের নাম, বাংলাদেশ এগিয়ে যাওয়ার নাম। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে বাংলাদেশ অহংকারের
বিজয় অর্জন করেছে। সে বিজয় এবং অহংকার; অন্ধকারে হারিয়ে যায় স্বাধীনতার মাত্র সাড়ে
তিন বছরের মাথায় বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করার মাধ্যমে। বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করার পর বাংলাদেশ
বিবর্ণ হয়ে যায়। ৭৫-এর পর পদ্মাসেতু আমাদেরকে অহংকার ও মর্যাদার জায়গায় নিয়ে গেছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিশ্বব্যাংকে চ্যালেঞ্জ করে পদ্মাসেতু বাস্তবায়ন করেছেন। এ
বছরের জুনে প্রধানমন্ত্রী পদ্মাসেতু উদ্বোধন করবেন।
আজ ঢাকায় কমলাপুরস্থ ইনল্যান্ড কন্টেইনার ডিপোতে (আইসিডি) চট্টগ্রাম বন্দর
কর্তৃপক্ষ আয়োজিত আইসিডির মেট শ্রমিক ও দুস্থদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণকালে এসব কথা
বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের উন্নয়ন অগ্রগতি দেখে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক গোষ্ঠী
চক্রান্ত করছে। মুক্তিযুদ্ধের সময় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সপ্তম নৌবিহার পাঠিয়েও বাংলাদেশের
বিজয় আটকাতে পারেনি। বাংলাদেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতি মার্কিন-ব্রিটিশ বেনিয়াদের সহ্য
হচ্ছে না। ষড়যন্ত্রকারীদের সম্পর্কে আমাদের সজাগ থাকতে হবে। ষড়যন্ত্রকারীরা
আইনশৃংঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীদের বিরুদ্ধেও ষড়যন্ত্র করছে। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সোনার
বাংলা বিনির্মাণের লক্ষ্যে পৌঁছে গেছি। অপপ্রচার চালিয়ে অগ্রগতি থামানো যাবে না। আমাদের
সীমাবদ্ধতা আছে কিন্তু সংকট নাই। ২০৩০ সালের মধ্যে বাংলাদেশ ২৪তম অর্থনৈতিক উন্নয়ন
দেশ হবে।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মাঝে বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান
রায়ার এডমিরাল এম শাহজাহান, আইসিডির ম্যানেজার আহমাদুল করিম এবং আইসিডির শ্রমিক
ইউনিয়নের সভাপতি তুষার খান বাবুল। অনুষ্ঠানে ২৭০ জনকে কম্বল দেয়া হয়।