ঢাকা, ৫ শ্রাবণ (২০ জুলাই) :
রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ পবিত্র ইদুল আজহা উপলক্ষ্যে নিম্নোক্ত বাণী
প্রদান করেছেন :
“পবিত্র ইদুল আজহা উপলক্ষ্যে আমি দেশবাসীসহ বিশ্বের সকল মুসলিম
ভাইবোনদের জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও মোবারকবাদ।
মহান আল্লাহর প্রতি গভীর আনুগত্য ও সর্বোচ্চ ত্যাগের মহিমায় ভাস্বর পবিত্র
ইদুল আজহা। ‘আজহা’ অর্থ কুরবানি বা উৎসর্গ করা। ইদুল আজহা উৎসবের সাথে মিশে
আছে চরম ত্যাগ ও প্রভুপ্রেমের পরাকাষ্ঠা। মহান আল্লাহর নির্দেশে স্বীয় পুত্র হযরত
ইসরাইল (আঃ) কে কুরবানি করতে উদ্যত হয়ে হযরত ইব্রাহিম (আঃ) আল্লাহর প্রতি অগাধ
ভালোবাসা, অবিচল আনুগত্য ও অসীম আত্মত্যাগের যে সুমহান দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন
তা ইতিহাসে অতুলনীয়।
কুরবানি আমাদের মাঝে আত্মদান ও আত্মত্যাগের মানসিকতা সঞ্চারিত করে,
আত্মীয়স্বজন ও পাড়া-প্রতিবেশীর সঙ্গে সুখ-দুঃখ ভাগাভাগি করে নেয়ার মনোভাব ও
সহিষ্ণুতার শিক্ষা দেয়। এ বছর এমন একটা সময়ে ইদুল আজহা উদ্‌যাপিত হচ্ছে যখন
বাংলাদেশসহ গোটা বিশ্ব করোনাভাইরাসের সংক্রমণে চরমভাবে বিপর্যস্ত। করোনার
কারণে দেশের জনগণের জীবন ও জীবিকা আজ কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি। জীবন বাঁচানো
প্রথম অগ্রাধিকার হলেও জীবন বাঁচিয়ে রাখতে জীবিকার গুরুত্বও অনস্বীকার্য। কঠিন এ
সময়ে আমি দেশের আপামর জনগণের প্রতি কুরবানির মর্মার্থ অনুধাবন করে সংযম ও
ত্যাগের মানসিকতায় উজ্জীবিত হয়ে মহামারিতে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের পাশে দাঁড়ানোর
আহ্বান জানাচ্ছি। একই সাথে আমি দেশবাসীর প্রতি যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে ও সামাজিক
দূরত্ব বজায় রেখে সর্বোচ্চ সতর্কতার সাথে ইদুল আজহা উদ্‌যাপনের আহ্বান জানাচ্ছি।
ত্যাগের শিক্ষা আমাদের ব্যক্তি জীবনে প্রতিফলিত হলেই সমাজে প্রতিষ্ঠিত হবে শান্তি ও
সৌহার্দ। মহান আল্লাহ আমাদেরকে মহামারি করোনার হাত থেকে রক্ষা করুন, আমিন।
মহান আল্লাহর নিকট কুরবানি কবুল হওয়ার জন্য শুদ্ধ নিয়ত ও উপার্জন থাকা
আবশ্যক। সরকার নির্ধারিত স্থানে কুরবানি করে এবং কুরবানির বর্জ্য অপসারণের
মাধ্যমে পরিবেশ দূষণ বন্ধে সকলে সচেষ্ট থাকবেন বলে আমি আশা রাখি। পবিত্র ইদুল
আজহা সবার জন্য বয়ে আনুক কল্যাণ, সবার মধ্যে জেগে উঠুক ত্যাগের আদর্শ।
জয় বাংলা
খোদা হাফেজ, বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।”