ঢাকা, ২৫ আষাঢ় (৯ জুলাই) :
রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ ১০ জুলাই পবিত্র ইদুল-আজহা উপলক্ষ্যে
নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেন :
“ঈদ মোবারক।
পবিত্র ইদুল-আজহা উপলক্ষ্যে আমি দেশবাসীসহ বিশ্বের সকল মুসলিম
ভাইবোনদের জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও মোবারকবাদ।
মহান আল্লাহর প্রতি গভীর আনুগত্য ও সর্বোচ্চ ত্যাগের মহিমায় ভাস্বর
পবিত্র ইদুল-আজহা। ‘আজহা’ অর্থ কুরবানি বা উৎসর্গ করা। ইদুল-আজহা উৎসবের
সাথে মিশে আছে চরম ত্যাগ ও প্রভুপ্রেমের পরাকাষ্ঠা। মহান আল্লাহর নির্দেশে স্বীয়
পুত্র হযরত ইসমাইল (আঃ) কে কুরবানি করতে উদ্যত হয়ে হযরত ইব্রাহিম (আঃ)
আল্লাহর প্রতি অগাধ ভালোবাসা, অবিচল আনুগত্য ও অসীম আত্মত্যাগের যে সুমহান
দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন তা ইতিহাসে অতুলনীয়।
কুরবানি আমাদের মাঝে আত্মদান ও আত্মত্যাগের মানসিকতা সঞ্চারিত করে,
আত্মীয়স্বজন ও পাড়া-প্রতিবেশীর সঙ্গে সুখ-দুঃখ ভাগাভাগি করে নেয়ার
মনোভাব ও সহিষ্ণুতার শিক্ষা দেয়। বিগত দু’টি বছর বাংলাদেশসহ গোটা বিশ্ব করোনা
মহামারির বিভীষিকার মধ্যেই ইদুল-আজহা উদযাপন করেছে। বর্তমানে করোনা ভাইরাসের
সংক্রমণ অনেকটা নিয়ন্ত্রণে আসলেও ভবিষ্যৎ সংক্রমণ বৃদ্ধি রোধে যথাযথ
সাবধানতা অবলম্বনের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। করোনা মহামারি ও বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে
যুদ্ধ-সংঘাতের কারণে বিশ্বব্যাপী মূল্যস্ফীতি উর্ধ্বমুখী। এ প্রেক্ষাপটে বিশ্বব্যাপী
নিম্নআয়ের মানুষ নানা সীমাবদ্ধতার মাঝে দিনাতিপাত করছে। তারাও যাতে ঈদের আনন্দ
হতে বঞ্চিত না হয় এবং ঈদোৎসবে শামিল হতে পারে সেলক্ষ্যে আমি দেশের বিত্তবান
ও স্বচ্ছল ব্যক্তিবর্গকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানাচ্ছি। ত্যাগের শিক্ষা আমাদের
ব্যক্তি জীবনে প্রতিফলিত হলেই সমাজে প্রতিষ্ঠিত হবে শান্তি ও সৌহার্দ্য।
মহান আল্লাহর নিকট কুরবানি কবুল হওয়ার জন্য শুদ্ধ নিয়ত ও বৈধ উপার্জন
থাকা আবশ্যক। সরকার নির্ধারিত স্থানে কুরবানি করে এবং কুরবানির বর্জ্য
অপসারণের মাধ্যমে পরিবেশ দূষণ বন্ধে সকলে সচেষ্ট থাকবেন বলে আমি আশা রাখি।
পবিত্র ইদুল-আজহা সবার জন্য বয়ে আনুক কল্যাণ, সবার মধ্যে জেগে উঠুক ত্যাগের
আদর্শ।
জয় বাংলা।
খোদা হাফেজ, বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।”