ঢাকা, ২০ বৈশাখ (৩ মে ) :
রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ আগামীকাল পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষ্যে নিম্নোক্ত বাণী
প্রদান করেছেন:
“ঈদ মোবারক।
পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষ্যে আমি দেশবাসীসহ বিশ্ববাসীকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও
মোবারকবাদ।
ঈদুল ফিতর মুসলমানদের অন্যতম প্রধান ধর্মীয় উৎসব। মাসব্যাপী সিয়াম সাধনা ও সংযম
পালনের পর অপার খুশি আর আনন্দের বারতা নিয়ে আমাদের মাঝে আসে পবিত্র ঈদুল ফিতর। এ
আনন্দ ছড়িয়ে পড়ে সবার মাঝে, গ্রামগঞ্জে, সারাবাংলায়, সারাবিশ্বে। এ দিন সকল শ্রেণি-পেশার
মানুষ এক কাতারে শামিল হন এবং ঈদের আনন্দকে ভাগাভাগি করে নেন। ঈদ সবার মধ্যে গড়ে তোলে
সৌহার্দ্য, সম্প্রীতি আর ঐক্যের বন্ধন। ঈদুল ফিতরের শিক্ষা সকলের মাঝে ছড়িয়ে পড়ুক, গড়ে
উঠুক সমৃদ্ধ বাংলাদেশ – এ প্রত্যাশা করি।
ইসলাম শান্তি ও কল্যাণের ধর্ম। এখানে হিংসা-বিদ্বেষ, হানাহানি, কূপমণ্ডূকতার কোনো
স্থান নেই। মানবিক মূল্যবোধ, পারস্পরিক সহাবস্থান, পরমতসহিষ্ণুতা ও সাম্যসহ বিশ্বজনীন
কল্যাণকে ইসলাম ধারণ করে। ইসলামের এই সুমহান বার্তা ও আদর্শ সবার মাঝে ছড়িয়ে দিতে হবে।
ভয়াবহ করোনা মহামারির মধ্যেই বিগত দুটি ঈদুল ফিতর উদযাপন করতে হয়েছিল। করোনাভাইরাসের
সংক্রমণে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছিল মানুষের জীবন ও জীবিকা। বর্তমানে দেশে করোনা সংক্রমণের
হার অনেক কমে এসেছে। জীবনযাত্রাও স্বাভাবিক হয়ে এসেছে। তবে ভবিষ্যৎ সংক্রমণ বৃদ্ধি রোধ
করতে আমাদেরকে সতর্ক থাকতে হবে এবং সকলকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। আমি সমাজের
সচ্ছল ব্যক্তিবর্গের প্রতি দরিদ্র জনগোষ্ঠীর পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানাচ্ছি যাতে ধনী-দরিদ্র
নির্বিশেষে সবাই ঈদের আনন্দ সমানভাবে উপভোগ করতে পারে। মানবতার মুক্তির দিশারি হিসেবে
ইসলামের মর্মার্থ ও অন্তর্নিহিত তাৎপর্য দিকে দিকে ছড়িয়ে পড়ুক, বিশ্ব ভরে উঠুক শান্তি আর
সৌহার্দ্যে- পবিত্র ঈদুল ফিতরে এ আমার প্রত্যাশা।
জয় বাংলা।
খোদা হাফেজ, বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।”