ঢাকা, ১২ আশ্বিন (২৭ সেপ্টেম্বর) :
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতে নিজের লেখা নতুন বই ‘জাতির উদ্দেশে ভাষণ: শেখ
হাসিনা’ তুলে দিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। জাতিসংঘের ৭৬তম
সাধারণ অধিবেশনে যোগদান উপলক্ষ্যে যুক্তরাষ্ট্র সফররত প্রধানমন্ত্রীর হাতে বইটি
তুলে দেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের লোটে নিউইয়র্ক প্যালেস হোটেলে
এসময় উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা
সজীব ওয়াজেদ জয়।
‘অন্যপ্রকাশ’ থেকে প্রকাশিত বিশ্লেষণধর্মী এই বইয়ে জাতির উদ্দেশ্যে দেওয়া শেখ
হাসিনার ৩২টি ভাষণের পরিপ্রেক্ষিত বিশ্লেষণ এবং মূল ভাষণ তুলে ধরা হয়েছে। এতে গত
চার দশকের বাংলাদেশের
আর্থ-সামাজিক ও রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটের একটি সুস্পষ্ট চিত্র প্রতিফলিত হয়েছে। এসব
ভাষণের বিশ্লেষণে রয়েছে বর্তমান এবং ভবিষ্যত বাংলাদেশের কাঙ্ক্ষিত অভিযাত্রার
গল্প, স্বপ্ন ও দর্শন।
বইটি সম্পর্কে ড. মোমেন বলেন, জাতির উদ্দেশ্যে দেওয়া বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ
হাসিনার প্রতিটি ভাষণে তাঁর রাজনৈতিক চিন্তা-দর্শন, দেশ ও জাতিকে নিয়ে তাঁর পরিকল্পনা
এবং বাংলাদেশকে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের বাংলাদেশ হিসেবে গড়ে তোলার দৃঢ় প্রত্যয়
সুস্পষ্টভাবে প্রতিফলিত হয়েছে। এই ভাষণগুলো দেশের অনাগত প্রজন্মেরও জন্যও
দিকনির্দেশনা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অপরিসীম ত্যাগ ও কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে
বহু বছরের সামরিক ও স্বৈরাচারী দুঃশাসনে ক্ষতিগ্রস্ত বাংলাদেশের প্রতিটি ক্ষেত্রকে
পুনর্নির্মাণের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলায় রূপান্তরের কাজ বাস্তবায়ন করে
চলেছেন।
ড. মোমেনের গ্রন্থিত ও সম্পাদিত বইয়ের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ‘শেখ হাসিনা: বিমুগ্ধ
বিস্ময়’, ‘বাংলাদেশ- একুশ শতকের পররাষ্ট্রনীতি: উন্নয়ন ও নেতৃত্ব’, ‘বাংলাদেশ: রোড টু
ডেভেলপমেন্ট’, ‘বাংলাদেশ তলাবিহীন ঝুড়ি নয়’, ‘বাংলাদেশ মার্চিং ফরোয়ার্ড’, ‘বঙ্গবন্ধু ও
বাংলাদেশ’, বাংলাদেশ: উন্নয়ন ও ভবিষ্যত সম্ভাবনা’, ‘বাংলাদেশের স্বাধীনতা: প্রত্যাশা ও
প্রাপ্তি’, ‘বঙ্গবন্ধুর ভাষণ সমগ্র ১৯৫৫-১৯৭৫’, ‘বঙ্গবন্ধু থেকে শেখ হাসিনা :
বাংলাদেশের উন্নয়ন ভাবনা ও কূটনীতি’, ‘টেকসই উন্নয়নের পথে অভিযাত্রা: বঙ্গবন্ধু
থেকে শেখ হাসিনা’, ‘সাউথ সাউথ কো-অপারেশন: ফাইন্যান্সিং এসডিজি’, ‘বাংলাদেশ কান্ট্রি
অভ্ এমপাওয়ারিং পিপল’ এবং ‘বাংলাদেশ: ফোরটি ইয়ারস ইন দ্যা ইউএন’। জাতীয় ও
আন্তর্জাতিক নানা গবেষণাগ্রন্থে তাঁর প্রকাশিত গবেষণা প্রবন্ধের সংখ্যা আড়াইশ’রও
বেশি।