ঢাকা, ১৭ ভাদ্র (১ সেপ্টেম্বর) :
পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন এর সভাপতিত্বে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ডিজিটাল
আর্কাইভ এবং ডিজিটাল সার্ভিস ডিজাইন ল্যাব বিষয়ক একটি ভার্চুয়াল সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে
যুক্ত ছিলেন আইসিটি ডিভিশন এর সিনিয়র সচিব এন এম জিয়াউল আলম।
সভার শুরুতে পররাষ্ট্র সচিব স্বাধীন বাংলাদেশের মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ
মুজিবর রহমান এবং ১৫ আগস্টে নির্মমতার শিকার বঙ্গবন্ধু পরিবারের শহিদ সকল সদস্যবৃন্দের
প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন। ডিজিটাল বাংলাদেশের স্বপ্নকে বাস্তবতায় রূপান্তরে প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বের প্রশংসা করে তিনি প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি বিষয়ক উপদেষ্টা
সজীব ওয়াজেদের কথা উল্লেখ করেন যিনি আজকের ডিজিটাল বাংলাদেশের নকশাকার।
পররাষ্ট্র সচিব উল্লেখ করেন, চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের যুগে তথ্যপ্রযুক্তিগত দিক থেকে
স্বয়ংস্বম্পূর্ণ হওয়ার কোন বিকল্প নেই। মানুষের দোরগোড়ায় সেবা পৌঁছে দেয়ার জন্য বিদ্যমান
প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামোকে নতুনভাবে চিন্তা করা এবং সাজানোর ওপর তিনি গুরুত্ব প্রদান করেন।
তিনি আরো বলেন, জনগণের বৃহত্তর সুবিধা এবং ডিজিটাল বাংলাদেশের সুফল ভোগের জন্য কৃত্রিম
বুদ্ধিমত্তা, ব্লকচেইন সহ অন্যান্য আধুনিক প্রযুক্তিকে ক্রমশ প্রচলন করতে হবে। পররাষ্ট্র
মন্ত্রণালয় বছরে গড়ে সাত লাখের অধিক পরিমাণ সেবা প্রদান করে থাকে। এই সেবাগুলোকে
ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে নেয়া হলে সাধারণ জনগণ অনেক উপকৃত হবে। তারা পৃথিবীর যে কোন প্রান্ত
থেকে কম সময়ে সেবা গ্রহণ করতে পারবে।
এটুআই প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক ড. মোঃ আব্দুল মান্নান, দেশে তৈরি ‘বৈঠক’ অ্যাপ
সর্বপ্রথম পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ব্যবহারের জন্য অভিনন্দন জানিয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের
সেবাসমূহ ডিজিটালাইজেশনের ক্ষেত্রে সার্বিক সহায়তার আশ্বাস ব্যক্ত করেন।
আইসিটি বিভাগের ডিএসডিএল দল ডিজিটাল সার্ভিস ডিজাইন ল্যাব (ডিএসডিএল)- এ
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সেবাগুলোকে ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে নেয়ার ব্যাপারে এবং নথিগুলোকে
ডিজিটাল আর্কাইভে সংরক্ষণ-এর ব্যাপারে উপস্থাপন করেন। তারা অন্যান্য সরকারি
দপ্তরসমূহের সাথে তাদের কাজের অভিজ্ঞতা এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাথে সহযোগিতার
ক্ষেত্রগুলো উল্লেখ করেন। সভায় উপস্থিত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতগণ এই ব্যাপারে তাঁদের মতামত
প্রদান করেন। তাঁরা নাগরিক সেবা জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছানোর ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ এর সিনিয়র সচিব এন এম জিয়াউল আলম বলেন,
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ডিজিটালাইজেশনের জন্য প্রয়োজনীয় গতিবেগ পেয়েছে এবং এটিকে কাজে
লাগানোর এখনই উপযুক্ত সময়। তিনি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রশংসা করে বলেন দেশে তৈরি
‘বৈঠক’ অ্যাপটি ব্যবহারের জন্য পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় প্রথম আগ্রহ প্রকাশ করে। পররাষ্ট্র
মন্ত্রণালয়ের সচিব (পশ্চিম ও আইসিটি) অংশগ্রহণকারীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে
বলেন, বাংলাদেশ বর্তমানে ম্যানুয়াল বা এনালগ থেকে সম্পূর্ণ ডিজিটাল পদ্ধতিতে রূপান্তরের পথে
আছে এবং এই পথপরিক্রমায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ও পিছিয়ে থাকবে না।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এবং বিদেশস্থ ৭৮ মিশনে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত ও হাইকমিশনার,
মিশন প্রধান এবং অন্যান্য উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা দুই ঘন্টাব্যপী এই সভায় ভার্চুয়ালি
অংশগ্রহণ করেন।