ঢাকা, ৪ বৈশাখ (১৭ এপ্রিল) :
মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা বলেছেন, নারীদের মধ্যে ধূমপায়ীর
হার কম হলেও ধোঁয়াবিহীন তামাক যেমন- জর্দা, গুল, সাদা পাতা, খৈনী সেবনের হার পুরুষদের তুলনায়
বেশি। ফলে নারীদের মধ্যে বৃহত্তর একটি জনগোষ্ঠি তামাকের কারণে ভয়াবহ স্বাস্থ্যঝুঁকির মধ্যে
রয়েছে। পাবলিক প্লেসে ধূমপানের কারণে অধূমপায়ী নারী ও শিশুরাও মারাত্নক স্বাস্থ্যগত ক্ষতির
শিকার হচ্ছে।
মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা আজ বাংলাদেশ শিশু একাডেমি
আয়োজিত একাডেমির সম্মেলন কক্ষে মাদকদ্রব্য ও নেশা নিরোধ সংস্থা (মানস) আয়োজিত
‘পরোক্ষ ধূমপানের ক্ষতি থেকে নারী ও শিশুদের সুরক্ষায় তামাকনিয়ন্ত্রণ আইন বাস্তবায়নের
প্রয়োজনীয়তা’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন। বাংলাদেশ শিশু একাডেমির
চেয়ারম্যান লাকী ইনামের সভাপতিত্বে সেমিনারে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মহিলা ও
শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মূঃ আনোয়ার হোসেন হাওলাদার।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ধূমপান ও তামাক সেবনের ফলে হৃদরোগ, স্ট্রোক, ক্যান্সার, ফুসফুসের
রোগে আক্রান্ত হয়ে বিশ্বে প্রতিবছরে ৮০ লক্ষাধিক মানুষ মৃত্যুবরণ করে। এর মধ্যে পরোক্ষ
ধূমপানের কারণে পৃথিবীতে প্রতিবছর
১২ লক্ষাধিক মানুষ মৃত্যুবরণ করে, যাদের অধিকাংশ শিশু ও নারী। বাংলাদেশে বছরে এক লক্ষ ৬১
হাজারের অধিক মানুষ তামাকজনিত বিভিন্ন রোগে মারা যায়। এসব রোগাক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা
ব্যয় হয় ৩০ হাজার ৫৭০ কোটি টাকা যা তামাক খাত থেকে প্রাপ্ত রাজস্বের চাইতে বেশি।
প্রতিমন্ত্রী ইন্দিরা বলেন, সরকার তামাক নিয়ন্ত্রণে বহুমাত্রিক পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।
পাবলিক প্লেস ধূমপানমুক্ত, তামাকজাত দ্রব্যের বিজ্ঞাপন ও প্রচারণা নিষিদ্ধ করায় ২০০৯
সালের (৪৩.৩ শতাংশ) তুলনায় বাংলাদেশে তামাক ব্যবহারকারীর সংখ্যা ২০১৭ (৩৫.৩ শতাংশ) সালে
আট শতাংশ কমেছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত ২০৪০ সালের মধ্যে বাংলাদেশ ধুমপান মুক্ত
দেশ হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন দপ্তরকে প্রশিক্ষণ ও সচেতনতা কার্যক্রমের
মাধ্যমে মাদক ও তামাক নিয়ন্ত্রণে আরো জোরালো ভূমিকা পালন করতে নির্দেশ দেন প্রতিমন্ত্রী।