ভারতের বিপক্ষে মাত্র ৫১ রানে অলআউট হয়ে আর ফাইনালে ওঠা হয়নি বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দলের। হাংঝু এশিয়ান গেমসে তাই বাংলাদেশের সামনে ছিলো ব্রোঞ্জ পদকের লড়াই। প্রতিপক্ষ পাকিস্তান। শ্রীলঙ্কার কাছে হেরে গিয়েছিলো তারা।
ব্রোঞ্জ পদকের লড়াইয়ে আজ ঝেজিয়াং ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজি ক্রিকেট মাঠে পাকিস্তানের মুখোমুখি হয় নিগার সুলতানারা। ভারতের বিপক্ষে সেমিফাইনালে তারা যে ভুল করেছিলো, সেটা আর পাকিস্তানের বিপক্ষে করেনি। বরং, পাকিস্তানি নারী ক্রিকেটারদের ৫ উইকেটে হারিয়ে এশিয়ান গেমসের পদক তালিকায় বাংলাদেশের নাম তুললো তারা।
২০১০ ও ২০১৪ সালের এশিয়ান গেমসে বাংলাদেশ ও পাকিস্তান স্বর্ণের লড়াই মুখোমুখি হয়েছিল। দুইবারই বাংলাদেশ হেরে রৌপ্য জয় করে। এবার সেই পাকিস্তানকে হারিয়ে গেমসের পদক তালিকায় দেশের নাম ওঠালেন নারী ক্রিকেটাররা।
টস জিতে পাকিস্তানকে প্রথমে ব্যাট করতে পাঠায় বাংলাদেশ অধিনায়ক নিগার সুলতানা। টস হেরে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ৬৪ রান সংগ্রহ করে নিদা দার অ্যান্ড কোং। জবাব দিতে নেমে ১৮.২ ওভারে (১০ বল হাতে রেখে) ৫ উইকেট হারিয়ে জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে যায় বাংলাদেশ।
৬৫ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে মিডল অর্ডার ব্যাটার স্বর্ণা আক্তার অপরাজিত থাকেন ১৪ রানে। দুই ওপেনার শামীমা সুলতানা এবং সাথি রানী করেন সমান ১৩ রান করে। শবনম মুস্তারি ৫, নিগার সুলতানা জ্যোতি ২ রান করে আউট হন। এছাড়া রিতু মনি আউট হন ৭ রান করে। ২ রানে অপরাজিত থাকেন সুলতানা খাতুন।
পাকিস্তানি বোলার নাশরা সান্ধু ৪ ওভারে ১০ রান দিয়ে ৩ উইকেট নেন। বাংলাদেশ শিবিরে কিছুটা ভয় ধরিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু ব্যাটারদের দৃঢ়তায় শেষ পর্যন্ত জয়ের পথে তারা বাধা হতে পারেনি। সাদিয়া ইকবাল এবং নিদা দার নেন ১টি করে উইকেট।
টস জিতে ব্যাট করতে নামা পাকিস্তানি ব্যাটারদের আটকে রেখেছিলেন বাংলাদেশের বোলার মারুফা আক্তার, স্বর্ণা আক্তার এবং সানজিদা আক্তার মেঘলা। মারুফা ৩ ওভার বল করে দিলেন মাত্র ২ রান। একটি মেডনের সঙ্গে উইকেট নেন ১টি। স্বর্ণা আক্তার ৪ ওভারে ১৬ রান দিয়ে নেন ৩ উইকেট। ২ উইকেট নেন সানজিদা আক্তার মেঘলা। ১টি করে উইকেট নেন মারুফা, নাহিদা এবং সানজিদা।
পাকিস্তানি ব্যাটারদের মধ্যে সর্বোচ্চ ১৭ রান করেন আলিয়া রিয়াজ। ১৪ রান করেন নিদা দার, ১৩ রান আসে সাদাফ সামাসের ব্যাট থেকে। এছাড়া ১১ রান করেন নাতালিয়া পারভিজ।