ঢাকা, ৪ শ্রাবণ (১৯ জুলাই) :

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব আমিনুল ইসলাম খান বলেছেন,
প্রাথমিক স্তরের পাঠ্যবই এমনভাবে লিখতে হবে, যাতে করে শিক্ষা শিশু মনে ভীতির নয়
প্রীতির ভাব জাগাবে। পাঠ্যপুস্তক হতে হবে সহজ, সরল ও প্রাঞ্জল, যা শিশুকে
আনন্দিত করবে, বইয়ের পাতা উল্টোতে তাগিদ সৃষ্টি করবে।

সিনিয়র সচিব আজ ঢাকায় এনসিটিবি সভাকক্ষে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও
পাঠ্যপুস্তক বোর্ড আয়োজিত ‘পরিমার্জিত প্রাথমিক শিক্ষাক্রম-২১ এর আলোকে
প্রণয়নকৃত ১ম শ্রেণির পাঠ্যপুস্তক ও শিক্ষক সহায়িকার যৌক্তিক মূল্যায়ন
সংক্রান্ত ৩ দিনব্যাপি কর্মশালার উদ্বোধন অধিবেশনে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব
কথা বলেন।

তিনি বলেন, নুতন শিক্ষানীতির আলোকে সরকার পুরোনো ধারার শিক্ষার খোলনলচে
পাল্টে এমন এক শিক্ষার বীজ বপন করছে, যা শিক্ষার্থীর মস্তিস্ক ও পিঠ থেকে
মুখস্থবিদ্যার বোঝা ঝেড়ে ফলে তাদের কৌতুহল, জিজ্ঞাসা, অনুসন্ধান, শক্তিকে জাগাবে
ও কাজে লাগাবে। এর মাধ্যমে শিশুর জানার পরিধি বাড়বে এবং সে স্বপ্ন ও কল্পনা দিয়ে
আপন ভূবন সাজাবে। সে নিজেই নানা চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করবে, তা মোকাবিলা করে অভীষ্ট
গন্তব্য পৌঁছাবে। তাই এটা বলা যায়, মানসম্মত পাঠ্যপুস্তক শিশুর অপার সম্ভাবনা ও
ভবিষ্যৎ স্বপ্নকে সত্যি করে তুলবে।

এনসিটিবি চেয়ারম্যান প্রফেসর মোঃ ফরহাদুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মহিবুর রহমান, পরিচালক ড. উত্তম কুমার
দাশ, এনসিটিবি’র সদস্য মোঃ মশিউজ্জামান ও প্রফেসর একেএম রিয়াজুল হাসান এবং
সচিব নাজমা আখতার বক্তব্য রাখেন।