ঢাকা, ১৬ মাঘ (৩০ জানুয়ারি) :
সিলেট মহানগরীতে পানি ও পয়ঃনিষ্কাশন সমস্যা নিরসনে খুব শীঘ্রই সিলেট ওয়াসা
প্রতিষ্ঠা করা হবে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মোঃ তাজুল ইসলাম।
আজ অনলাইনে সিলেট সিটি কর্পোরেশন এলাকায় পানি সরবরাহ ও পয়ঃনিষ্কাশন কর্তৃপক্ষ
(সিলেট ওয়াসা) গঠনের কার্যক্রম গ্রহণ বিষয়ক পরামর্শ সভায় সভাপতির বক্তব্যে মন্ত্রী
একথা জানান।
স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, সিলেট শহর দেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ শহর। এ মহানগরীর
জনগণের জন্য পরিবেশবান্ধব, টেকসই ও গণমুখী সুপেয় পানি সরবরাহ এবং স্বাস্থ্যসম্মত
পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থা গড়ে তোলা প্রয়োজন।
মোঃ তাজুল ইসলাম জানান, সিলেট মহানগরীতে পানি সরবরাহ ও পয়ঃনিষ্কাশন কর্তৃপক্ষ
(সিলেট ওয়াসা) গঠনের জন্য প্রাথমিক পদক্ষেপ হিসেবে গেজেট নোটিফিকেশন জারি,
অর্গানোগ্রাম, চাকুরি বিধিমালা প্রণয়নসহ অন্যান্য কার্যক্রম দ্রুত গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট
মন্ত্রণালয়/বিভাগ, দপ্তর ও সংস্থাকে সভায় প্রয়োজনীয় নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে। খুব
দ্রুতই সিলেট ওয়াসা প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব হবে বলে এ সময় আশাবাদ ব্যক্ত করেন মন্ত্রী।
শহর ও গ্রাম অঞ্চলে সুপেয় পানি সরবরাহ ব্যবস্থাপনা উন্নয়নে বাস্তবমুখী টেকসই
প্রকল্প গ্রহণ ও বাস্তবায়নের মাধ্যমে সামগ্রিক পরিবেশ রক্ষায় তাঁর মন্ত্রণালয় নিরলসভাবে
কাজ করে যাচ্ছে উল্লেখ করে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, সরকার ভূ-গর্ভস্থ উৎসের উপর
নির্ভরশীলতা হ্রাস করে ভূ-উপরিস্থ পানি ব্যবহারের উপর অধিক গুরুত্ব আরোপ করেছে। এ
লক্ষ্যে শহর অঞ্চলের পাশাপাশি গ্রাম অঞ্চলে নদ-নদীর পানি ব্যবহার, পুকুর খনন, রেইন
ওয়াটার হার্ভেস্টিংয়ের মাধ্যমে ভূ-উপরিস্থ পানি ব্যবহার বৃদ্ধির নানামুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করা
হয়েছে। মন্ত্রী বলেন, এসডিজি অনুযায়ী ২০৩০ সালের মধ্যে ৭০ শতাংশ সারফেস ওয়াটার নিশ্চিত
করার কথা বলা হয়েছে। বাংলাদেশ এ সময়ের আগেই লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করবে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন সভায় অংশ নিয়ে জানান, সিলেটে আগের তুলনায়
জনসংখ্যা বহুগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। তাই এখানে একটি ওয়াসা প্রতিষ্ঠা করা জরুরি হয়ে পড়েছিলো। এ
উপলব্ধি থেকে সিলেট ওয়াসা প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নেয়ায় তিনি স্থানীয় সরকার মন্ত্রীকে ধন্যবাদ
জানান এবং দ্রুত বাস্তবায়নে সব ধরনের সহযোগিতা প্রদানের প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন।
সভায় স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ, সিলেট সিটি
কর্পোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী এবং সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন
কর্মকর্তাবৃন্দ অংশ নেন।