সায়মা ওয়াজেদ পুতুলকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) থেকে সরাতে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চিঠি এখনও পায়নি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাপ্তাহিক ব্রিফিংয়ে গতকাল সোমবার মুখপাত্র রফিকুল আলম বলেন, ‘আমাদের কাছে এ-সংক্রান্ত কোনো ডকুমেন্ট আসেনি। সুতরাং, এখানে প্রিম্যাচিউরড স্টেটমেন্ট দেওয়া ঠিক হবে না। আমরা এখনও চিঠি পাইনি, চিঠি আসেনি।’ এ ছাড়া সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ইন্টারপোলের রেড নোটিশ জারি করা নিয়ে হালনাগাদ তথ্য দিতে পারেননি তিনি।
এর আগে পুতুলের বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে দুই মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠানোর কথা জানিয়েছিল দুদক। গত ১৯ জানুয়ারি দুদকের এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বলেন, শেখ হাসিনার মেয়ে পুতুলের দুর্নীতির একটি সারসংক্ষেপ তৈরি করা হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পররাষ্ট্র ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে দুই-এক দিনের মধ্যে চিঠি পাঠানো হবে।
দ্বৈত নাগরিকদের সরকারি দায়িত্বে থাকার বিষয়ে আরেক প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘আমরা সবাই জানি, দ্বৈত নাগরিকত্ব থাকলে সরকারি কোনো কর্মে নিযুক্ত হওয়া যায় না; এটা সাধারণ একটা প্রক্রিয়া। এর ব্যত্যয়গুলো কোথায়-কীভাবে হয়েছে, সেটা সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়গুলো খতিয়ে দেখতে পারে।’
ছাত্র-জনতার আন্দোলনে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা পালিয়ে ভারত যান। তখন থেকে তিনি সেখানে আছেন। ডব্লিউএইচওতে পুতুলের কর্মস্থল নয়াদিল্লি। সরকার পতনের পর থেকে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে শতাধিক মামলা হয়েছে। তাঁর মেয়ে পুতুলের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা হয়েছে।
দুদকের তথ্য বিবরণীতে বলা হয়, পুতুলের বিরুদ্ধে দুর্নীতির বিশ্বাসযোগ্য অভিযোগ রয়েছে। এমন ব্যক্তি ডব্লিউএইচওর পদে থাকা দেশের জন্য মর্যাদাহানিকর। বিশ্বে দেশের সুনাম ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
এদিকে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ইন্টারপোলের রেড নোটিশ জারি করা নিয়ে প্রশ্নের জবাবে রফিকুল আলম বলেন, ‘কোনো দেশ থেকে সন্দেহভাজন অপরাধীর তথ্য দিয়ে সংশ্লিষ্ট দেশ ইন্টারপোলের রেড নোটিশ জারি করতে পারে। রেড নোটিশ ইন্টারপোলের আন্তর্জাতিক গ্রেপ্তারি পরোয়ানার সমতুল্য।’
আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘রেড অ্যালার্টের বিষয়ে আমার কাছে হালনাগাদ তথ্য নেই।’