এইচ এম মাহমুদ হাসান: পেশাগত কাজে তথ্য সংগ্রহ করায় সাংবাদিককে ডাকাতি মামলা দিয়েছে পুলিশ। গতকাল মঙ্গলবার রাতে উত্তরা ৯ নং সেক্টরে এই ঘটনা ঘটে। গাজীপুর জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক ও শ্রীপুর উপজেলা চেঁযারমযান মো. জামিল হাসান দুর্জয় অস্ত্রসহ একটি বাড়িতে অবস্থান করছে এমন তথ্যের ভিত্তিতে উত্তরা ৯ নং সেক্টরে তল্লাশি চালাচ্ছে কিছু লোক,এমন খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন স্থানীয় সাংবাদিক মো. মিজানুর রহমান ও সাইফুল ইসলাম একা। খবর পেয়ে পেশাদায়ীত্ব পালনে সেখানে সংবাদসংগ্রহে গিয়ে সম্পুর্ণ বিষয়টি ফেসবুক পেইজে লাইভ করে সাংবাদিক সাইফুল ইসলাম একা। এসময় দুর্জয়ের লাইভ বক্তব্যও ধারন করেন সেই সাংবাদিক। অন্যদিকে ঘটনার বিষয়ে উত্তরা পশ্চিম থানা পুলিশের সহযোগীতা চেয়ে ফোন করেন সাংবাদিক মিজানুর রহমান। এদিকে ঘটনার সময় দুর্জয়ের স্ত্রীর নির্দেশে প্রায় দেরশতাধীক সন্ত্রাসী বাহিনী তল্লাশিতে আশা ব্যক্তিদের পিটিয়ে বাহির করে সেখানে থাকা দুইজন সাংবাদিক ও দুইজন সাধারন মানুষকে আটক করে সেনাবাহিনীর হাতে তুলে দেয়। এসময় এক সাংবাদিককে পিটিয়ে আহত করে এবং তার সাথে থাকা নগদ টাকা, মোবাইল ছিনিয়ে নেয়, এবং বাকি চারজনকে সেনাবাহিনীর হাতে ডাকাত বলে তুলে দেয়। উত্তরা পশ্চিম থানা পুলিশ তাদেরকে হেফাজতে নিলে সেই
সময় সন্ত্রাসীরাও থানায় আসে বলেও জানিয়েছে হামলারপর প্রানেশবাচা অপর সাংবাদিক।

এই বিষয়ে দুর্জয়ের স্ত্রী সিনথিয়া সালমা হাবীব বাদী হয়ে চার জনকে আসামী করে উত্তরা পশ্চিম থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দাঁয়ের করেন, সেই এজাহারে দুই সাংবাদিককেও আসামী করেন । তবে ওসি হাফিজুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, সাংবাদিক মিজান ঘটনার আগে ফোন করে সেখানে পুলিশ পাঠানোর অনুরোধ করেন, তবুও সেই মামলায় আসামী হলেন মিজান। ঘটনার বিস্তারিত লাইভে ভিডিও করে ঘটনাস্থলের সকল তথ্য সরবরাহ করলেও তাঁকেও ডাকাত বলে মামলা দেয়া হয়েছে। এই বিষয়ে উত্তরা জোনের উপ- পুলিশ কমিশনার রওনক জাহান সাংবাদিকদের বলেন, প্রথম অভিযোগের ভিত্তিতেই মামলা আমলে নেয়া হয়েছে। পরে বিস্তারিত তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনিয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। উনারা নির্দোশ হলে অবশ্যই মামলার ফাইনাল চার্জশিট থেকে উনাদের বাদ দেয়া হবে।