শনিবার, ২৯ জুলাই ২০২৩

লিওনেল মেসির আগমন বলে কথা! ঝড়, বৃষ্টি ও বজ্রপাত উপেক্ষা করেই গত ১৬ জুন সন্ধ্যায় ফ্লোরিডার পোর্ট লডারডেলের ডিআরভি পিএনকে স্টেডিয়ামে জড়ো হয়েছিলেন হাজারো ফুটবলপ্রেমী। মেসি-বরণ অনুষ্ঠানের সময় নামা বৃষ্টিকে সেদিন ‘পবিত্র জল’ বলেছিলেন ইন্টার মায়ামির সহমালিক জর্জ ম্যাস। আর মেসিকে পরিচয় করিয়ে দিয়েছিলেন ‘আমেরিকার নম্বর ১০’ হিসেবে।

ডেভিড বেকহামের কাছেও ব্যাপারটা একই রকম। ইংল্যান্ডের সাবেক অধিনায়ক ও মায়ামির আরেক সহমালিক বেকহামের মতে, তাঁর ক্লাবে মেসির যোগ দেওয়ার ঘটনা শুধু যুক্তরাষ্ট্রের ফুটবল নয়; দেশটির ক্রীড়াঙ্গনের ইতিহাসেরই সবচেয়ে বড় দলবদল। জমকালো আয়োজনে মেসিকে মায়ামিতে বরণ করে নেওয়ার চার দিন পর মেজর লিগ সকারের (এমএলএস) ক্লাবটির হয়ে তাঁর অভিষেক হয়েছে।

মার্কিন ফুটবলে আর্জেন্টাইন তারকার প্রথম ম্যাচের প্রাক্কালে ক্রীড়াবিষয়ক ওয়েবসাইট ‘দ্য অ্যাথলেটিক’কে একান্ত সাক্ষাৎকার দিয়েছেন বেকহাম। শুনিয়েছেন মেসিকে আনার পরিকল্পনার কথা। জানিয়েছেন তাঁকে ঘিরে সমর্থকদের উন্মাদনা, প্রত্যাশা ও মার্কিন ফুটবলে বাঁকবদলের সম্ভাবনা। সাবেক ক্লাব ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের বর্তমান মালিকানা নিয়েও অল্পবিস্তর আলোচনা করেছেন।

বেকহাম বলেন, ‘আমরা এখন বিশ্বের সর্ববৃহৎ ক্রীড়াবাজার নিয়ে আলোচনা করছি। বিশ্বকাপ জয়ের পরের বছরই লিওনেল মেসিকে ইন্টার মায়ামিতে, এমএলএসে নিয়ে আসা; সেটাও তিন বছর বয়সী একটা দলে এটা বিশাল অর্জন।’ মেসিকে নিজের দলে ভেড়ানোকে কি খেলোয়াড়ি জীবনের অর্জনের সঙ্গে তুলনা করা যায়? ৪৮ বছর বয়সী বেকহামের উত্তর, ‘কখনোই ভাবিনি খেলোয়াড় ও ক্লাবের মালিক হিসেবে একই রকম অনুভূতি হবে। যখন আমার কাছে ফোন এল, মনে হচ্ছিল আমি ওল্ড ট্রাফোর্ড বা ওয়েম্বলিতে হাঁটছি। অনুভূতিটা এমন যেন আমরা সব প্রতিদ্বন্দ্বীকে পেছনে ফেলে সর্বকালের সেরা ফুটবলারকে দলে আনছি।’

মেসির সঙ্গে বেকহামের একটা মিলও আছে। ২০০৭ সালে লস অ্যাঞ্জেলেস গ্যালাক্সিতে অভিষেক হয়েছিল বেকহামের, ইন্টার মায়ামিতে মেসির অভিষেক ২০২৩ সালে। ব্যবধান ১৬ বছরের হলেও তারিখটা একই—২১ জুলাই! রিয়াল মাদ্রিদ ছেড়ে বেকহাম যখন মার্কিন মুলুকে পাড়ি জমান, তখন কত কথাই না শুনতে হয়েছে। পুরো যুক্তরাষ্ট্রে তখন মাত্র ছয়টি স্টেডিয়াম পুরোপুরি ফুটবলের জন্য বরাদ্দ ছিল। কিন্তু বেকহামের মধ্যে মার্কিন ফুটবলকে বদলে দেওয়ার তাড়না কাজ করেছে। যুক্তরাষ্ট্রের ফুটবলকে মনেপ্রাণে ভালোবেসেছেন তিনি। সেখানে থেকে যেতে চেয়েছেন।