প্রথম ধাপে দেশের ১৫২ উপজেলা পরিষদে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়েছে। তফসিল অনুযায়ী আগামী ৮ মে ভোটগ্রহণ হবে।
বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) বেলা ১১টায় প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়ালের সভাপতিত্বে তার সভাকক্ষে নির্বাচন কমিশনের ২৯তম সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়।
সভায় জানানো হয়, আগামী ১৫ এপ্রিল মনোনয়ন দাখিল, যাচাই-বাছাই ১৭ এপ্রিল এবং প্রত্যাহার ২২ এপ্রিল। এছাড়া প্রতীক বরাদ্দ দেয়া হবে ২৩ এপ্রিল। ২২ উপজেলায় ভোট হবে ইভিএমে। বাকিটা ব্যালটে। দ্বিতীয় ধাপে ভোট হবে ২৩ মে, তৃতীয় ধাপে ভোট হবে ২৯ মে, চতুর্থ ধাপে ভোট হবে ৫ জুন।
উল্লেখ্য, সংশোধিত নির্বাচন পরিচালনা বিধি ও আচরণ বিধি অনুযায়ী, স্বতন্ত্র প্রার্থী হতে কোনো সমর্থন সূচক তালিকা দেওয়ার প্রয়োজন নেই; রঙিন পোস্টার ছাপাতে পারবেন প্রার্থীরা। প্রচারণার সময়ও পাচ্ছে বেশি; তবে জামানতের পরিমাণ বেড়েছে এবার।
এর আগে, ১৯৮৫ সালে উপজেলা পরিষদ চালু হওয়ার পর ১৯৯০ ও ২০০৯ সালে একদিনেই ভোট হয়েছিল। ২০১৪ সালে চতুর্থ উপজেলা নির্বাচন ছয়টি ধাপে ও ২০১৯ সালে পাঁচ ধাপে পঞ্চম উপজেলা পরিষদের ভোট হয়। আগের চারটি উপজেলা নির্বাচন নির্দলীয়ভাবে হলেও আইন সংশোধন হওয়ায় ২০১৭ সালের মার্চে মেয়াদোত্তীর্ণ তিনটি উপজেলায় দলীয় প্রতীকে নির্বাচন হয়েছিল। পরে ২০১৯ সালে দলীয় প্রতীকে পূর্ণাঙ্গ নির্বাচন হয়।
দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ না নিলেও বিএনপি পরে নির্দলীয় উপজেলা ভোটে অংশ নিয়েছিল। গেল ১০ বছর ধরে উপজেলা ভোটে দলীয় প্রার্থী দেয়নি দলটি। দলীয় প্রতীকে ভোট হলেও ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ কোনো প্রার্থীকে দলীয় মনোনয়ন দিচ্ছে না। আর বিএনপি অংশ নিচ্ছে না এ নির্বাচনে।