ঢাকা, ৮ আশ্বিন (২৩ সেপ্টেম্বর) :
পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. বেনজীর আহমেদ বলেছেন, প্রধানমন্ত্রীর ভিশন-২০৪০ বাস্তবায়নে দেশে কিশোর অপরাধ নিয়ন্ত্রণে আমরা কাজ করছি।
কিশোর গ্যাং নিয়ন্ত্রণ কঠিন হয়ে যাচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, তবুও আমাদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কিশোর অপরাধ নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে। আশা করছি, এটিও নিয়ন্ত্রণে আসবে।
তিনি বলেন, গণতান্ত্রিক দেশে উন্নয়নের ধারা বজায় রাখতে কিশোর গ্যাং কোনোভাবেই যেন বাধা না হয় সেদিকে আমাদের সবার নজর দিতে হবে।
কিশোর গ্যাং নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নতুনভাবে ভাবতে হবে আহ্বান জানিয়ে আইজিপি বলেন, গত তিন বছর ধরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রেক্ষাপটে কিশোর গ্যাং একটা বিশাল চ্যালেঞ্জ তৈরি করেছে। কিশোর গ্যাং নিয়ন্ত্রণ কঠিন হয়ে যাচ্ছে। তবুও আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি।
আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর মগবাজার বীর মুক্তিযোদ্ধা আসাদুজ্জামান খান কামাল কমপ্লেক্সে ‘সবার হোক একটাই পণ, কিশোর অপরাধ করবো দমন’ শিরোনামে কিশোর অপরাধবিরোধী সামাজিক প্রচারণা কার্যক্রম ও র্যাব নির্মিত টিভিসি উদ্বোধন অনুষ্ঠানে আইজিপি এসব কথা বলেন।
আইজিপি বলেন, সন্তানের জন্য বাবা-মায়েরও দায়িত্ব রয়েছে। তারা কী করে, কোথায় যায়, কার সঙ্গে মেশে, এগুলো দেখা প্রতিটি পরিবারের দায়িত্ব।
ড. বেনজীর আহমেদ বলেন, আমাদের সংসদে নতুন নতুন আইন প্রণয়ন হচ্ছে। আদালতও অনেক নির্দেশনা দিচ্ছেন। সে ক্ষেত্রে কিশোর আইনও হালনাগাদ হয়েছে। সে হিসেবে একজন ব্যক্তি ১৮ বছর বয়স পর্যন্ত শিশু হিসেবে গণ্য হয়। কিন্তু বর্তমানে দেশে আইন চেঞ্জ করার কারণে যেটা হয়েছে তাতে যে যুবকে পরিণত হয় তাকেও শিশু হিসেবে গণ্য করা হয়। ফলে কিশোর গ্যাংয়ের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া যাচ্ছে না।
তিনি আরও বলেন, বর্তমানে আইন অনুযায়ী কিশোর অপরাধীকে গ্রেফতার করা যাবে না। তাদেরকে সংশোধনাগারে পাঠাতে হবে। সংশোধনাগারের সংখ্যাও কম। ফলে কিশোর গ্যাং নিয়ন্ত্রণ কঠিন হয়ে যাচ্ছে। তবুও আমাদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কাজ করছে। আশা করছি এটিও নিয়ন্ত্রণে আসবে।
আইজিপি বলেন, আমাদের সংসদে নতুন নতুন আইন প্রণয়ন হচ্ছে। আদালতও অনেক নির্দেশনা দিচ্ছেন। সে ক্ষেত্রে কিশোর আইনও হালনাগাদ হয়েছে।
অভিভাবকদের উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, সন্তানের জন্য বাবা-মায়েরও দায়িত্ব রয়েছে। তারা কী করে, কোথায় যায়, কার সঙ্গে মেশে, এগুলো দেখা প্রতিটি পরিবারের দায়িত্ব।
র্যাব মহাপরিচালক (ডিজি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান নাছিমা বেগম, জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মোস্তফা কামাল উদ্দীনসহ অন্যান্য উধর্বতন কর্মকর্তারা এসময় উপস্হি ছিলেন।
এসময় অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন র্যাবের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশনস) কর্ণেল কে এম আজাদ।