ঢাকা, ২৯ জ্যৈষ্ঠ (১২ জুন) :

শিশুদের  সমন্বিত ইসিডি সেবা প্রদানের লক্ষ্যে ২৭১ কোটি ৮২ লাখ টাকা ব্যয়ে
সমাজভিত্তিক সমন্বিত শিশু-যত্ন কেন্দ্রের মাধ্যমে শিশুদের প্রারম্ভিক বিকাশ ও
সুরক্ষা এবং সাঁতার সুবিধা প্রদান প্রকল্পের উদ্বোধন করেছেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক
প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা। ২০২২ থেকে ২০২৪ সাল মেয়াদে বাস্তবায়িত এ
প্রকল্পের শতকরা ৮০ ভাগ অর্থায়ন (২১৭ কোটি ৬২ লাখ টাকা) করবে বাংলাদেশ
সরকার ও ২০ ভাগ অর্থায়ন (৫৪ কোটি ২০ লাখ টাকা) করবে ব্লুমবার্গ পিলানথ্রোপিজ।
বাংলাদেশ শিশু একাডেমির তত্ত্বাবধানে প্রকল্পটি দেশের ১৬ টি জেলায় ৪৫ টি
উপজেলায় বাস্তবায়িত হবে। এ প্রকল্পের আওতায় এক থেকে পাঁচবছর বয়সী দুই লাখ
শিশুর জন্য প্রকল্প এলাকায় আট হাজার সমাজভিত্তিক শিশু-যত্ন কেন্দ্র স্থাপন এবং
এক হাজার ছয়শত স্থানে ছয় থেকে দশ বছর বয়সী তিন লাখ ষাট হাজার শিশুকে সাঁতার
শেখানো হবে।

প্রতিমন্ত্রী আজ ঢাকায় হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান
অতিথির বক্তব্যে বলেন, প্রকল্পটির মূল লক্ষ্য হচ্ছে শিশুর প্রারম্ভিক বিকাশ, শিক্ষা
এবং যত্ন প্রদান নিশ্চিতকরণের মাধ্যমে শিশুর সার্বিক বিকাশ, নিরাপত্তা, সুরক্ষা
নিশ্চিত করা এবং মৃত্যুঝুঁকি কমিয়ে আনা।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, এ প্রকল্পের মাধ্যমে সমন্বিত ইসিসিডি সেবা প্রদান জন্য
প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা বৃদ্ধিকরণ এবং পানিতে ডুবে যাওয়াসহ শৈশবকালীন আঘাত হতে
শিশুদের রক্ষার জন্য ইতিবাচক প্যারেন্টিং বিষয়ে অভিভাবকদের সচেতন করা হবে।
গ্রামীণ জনপদে কেন্দ্রভিত্তিক শিশুদের সার্বিক বিকাশসহ জীবন দক্ষতামূলক সাঁতার
প্রশিক্ষণ প্রদান করা হবে। শিশুর বিকাশের কাজটি একটি ক্রস-কাটিং ইস্যু। এ জন্য
উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা, কারিগরি ও বাস্তবায়নকারী সংস্থাসহ সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের
সহায়তায় প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হবে, যা এসডিজি লক্ষ্য পাঁচ বছরের নিচে শিশুমৃত্যুর
হার কমিয়ে আনতে ভূমিকা রাখবে।

অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ শিশু একাডেমির চেয়ারম্যান লাকী ইনামের সভাপতিত্বে বিশেষ
অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মু: আনোয়ার হোসেন হাওলাদার।
আরো উপস্থিত ছিলেন ব্লুমবার্গ ফিলানথ্রপিজের পরিচালক কেলি লারসন (Kelly Larson),
ব্রাক আইডি’র নির্বাহী পরিচালক ড. ইরাম মরিয়ম, বাংলাদেশ ইসিডি নেটওয়ার্কের

সহসভাপতি মাহমুদা আক্তার ও সিআইপিআর’বি উপ নির্বাহী পরিচালক ড. আমিনুর
রহমান।