প্রয়োজনে এমপি, মন্ত্রী ও সচিবের বাড়ি ভেঙে জলাশয় উদ্ধার করা হবে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান মনজুর আহমেদ চৌধুরী।
সোমবার সকালে পটুয়াখালীর জেলা শহরের স্থানীয় নদী-খাল ও জলাশয় পরিদর্শনকালে তিনি এ মন্তব্য করেন।
মনজুর আহমেদ বলেন, প্লাবিক ট্রাস্ট প্রোপার্টিতে নাগরিকের অধিকার নিশ্চিত করা হয়েছে। অথচ সেসব জমি বেদখল হয়ে গেছে। উন্নয়ন করে সব খাল/জলাশয় ড্রেনে পরিণত করা হয়েছে। মেরে ফেলা হয়েছে শহরের সব খাল ও উন্মুক্ত জলাশয়।
তিনি বলেন, এ শহরের ভেতরের খালগুলোতে নৌকা ও ট্রলার চলাচল করতো, সেখানে ডিঙি (ছোট) নৌকাও ঢুকতে পারছে না। অপরিকল্পিত উন্নয়নে শুধু অর্থের অপচয় হয়েছে। অন্যায়ভাবে প্রতিহত করা হয়েছে প্রকৃতিকে।
তিনি বলেন, দখলের প্রতিযোগিতায় খরস্রোতা লাউকাঠি ও লোহালিয়া নদীতে এখন নাব্যতা সংকট দেখা দিয়েছে। সিএস ম্যাপ অনুসারে এ সব খাল/জলাশয় উদ্ধার করে উন্মুক্ত করা হবে। সেখানে যদি কোনো এমপি, মন্ত্রী ও সচিবের বাড়িও থাকে, প্রয়োজনে তা ভেঙে দিতে হবে। আমি স্থানীয় প্রশাসনকে লিখিত অর্ডার করে যাব খাল উদ্ধার করতে।