৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ :
শুক্রবার মিরপুরে বিপিএলের ম্যাচে ফরচুন বরিশালের কাছে ৩৭ রানে হেরে প্লে অফের লড়াই থেকে ছিটকে গেছে ইয়াসির-তামিমরা। দারুণ জয়ে প্লে অফের রাস্তাটা সহজ করল সাকিবের ফরচুন বরিশাল।
টস জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে বিশ ওভারে ৫ উইকেটে ১৯৪ রান করে বরিশাল। জবাবে খুলনা টাইগার্স থামে ৮ উইকেটে ১৫৭ রানে।
জয়ের লক্ষ্যে খেলতে নেমে খুলনার টপ অর্ডার ছিল ব্যর্থ। একমাত্র শাই হোপ ২৪ বলে করেন ৩৭ রান। তামিম ইকবাল (১), বালবার্নি (১২), মাহমুদুল হাসান জয় (০) নিজেদের নামের সুবিচার করতে পারেনি।
মিডল অর্ডারে ইয়াসির শাহ ৩৮ বলে খেলেন ৬০ রানের ঝড়ো ইনিংস। তার ইনিংসে ছিল পাঁচটি চার ও তিন ছক্কার মার। তবে তার বিদায়ের পর রানের গতি কমে আসে খুলনার। পারেনি লক্ষ্য ছুঁতে। ২৪ বলে ২৪ রান করেন নাহিদুল। বরিশালের হয়ে বল হাতে ৪ ওভারে ২৯ রানে সর্বোচ্চ চার উইকেট নেন আফগান পেসার করিম জানাত। খালেদ দুটি, সাকিব ও ওয়াসিম নেন একটি করে উইকেট।
এর আগে ব্যাট করতে নেমে বরিশালের হয়ে কম বেশি সবাই রান পেয়েছেন। ৩১ বলে সর্বোচ্চ ৫১ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন পাকিস্তানের ইফতিখার আহমেদ। সমান তিনটি করে চার ও ছক্কা হাঁকান তিনি। অধিনায়ক সাকিব আল হাসান ২১ বলে এক চার ও চার ছক্কায় করেন ৩৬ রান।
এনামুল হক বিজয় ১২, ফজলে মাহমুদ ৩৯, ইব্রাহিম জাদরান ২৩ রান করেন। বল হাতে খুলনার হয়ে সর্বোচ্চ তিন উইকেট নেন পল ভ্যান মিকেরেন।
১০ ম্যাচে সাত জয়ে ১৪ পয়েন্ট নিয়ে প্লে অফ অনেকটাই নিশ্চিত বরিশালের, তালিকায় অবস্থান দ্বিতীয়। সেখানে ১০ ম্যাচে আট হার ও দুই জয়ে চার পয়েন্ট নিয়ে ষষ্ঠ স্থানে খুলনা টাইগার্স।
অপর দিকে —
অধিনায়ক সোহানের নৈপুণ্যে ঢাকা ডমিনেটর্সকে হারিয়ে শেষ চার নিশ্চিত করেছে রংপুর রাইডার্স।
মিরপুর শের-ই বাংলা স্টেডিয়ামে শুক্রবার দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে তিন বল হাতে রেখেই ঢাকা ডমিনেটর্সকে ২ উইকেটে হারিয়েছে রংপুর। ব্যাট হাতে ৬১ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলে রংপুরের জয়ের নায়ক অধিনায়ক সোহান।
প্রথমে ব্যাট করতে নেমে রংপুর রাইডার্সের বোলারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ের সামনে দাঁড়াতেই পারেননি ঢাকার ব্যাটাররা। পুরো ২০ ওভার ব্যাট করতে সক্ষম হলেও ৮ উইকেট হারিয়ে টেনেটুনে ১৩০ রান তুলতে পারেন নাসির-সৌম্যরা।
টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই চাপের মুখে ছিল ঢাকা। দলীয় ১১ রানেই প্রথম ব্যাটারের উইকেট হারিয়ে ফেলে তারা। প্রথম ওভারেই রান আউট হয়ে ফেরেন ওপেনার মোহাম্মদ মিঠুন (৫)। পরের ওভারে আফগান পেস বোলিং অলরাউন্ডার আজমতুল্লাহর বলে বোল্ড হয়ে ফেরেন অধিনায়ক নাসির হোসেন (৩)।
আরেক ওপেনার সৌম্য সরকারও পারেননি চাপের মুখে হাল ধরতে। ১২ বোল মোকাবিলা করলেও মাত্র ৩ রান করে আজমতুল্লাহর দ্বিতীয় শিকারে পরিণত হন এই বাঁহাতি ব্যাটার। এরপর আব্দুল্লাহ আল মামুন ও অ্যালেক্স ব্লেক ধাক্কা সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু তারাও খুব বেশিদূর যেতে পারেননি। সর্বোচ্চ ২৯ রান এসেছে আরিফুল হকের ব্যাট থেকে। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২৩ রান করেন মামুন।