ঢাকা, ১৬ শ্রাবণ (৩১ জুলাই) :
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, ফাইভ-জি সংযোগ হচ্ছে
চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের ডিজিটাল মহাসড়ক। ফাইভ-জি এর উপর নির্ভর করেই চতুর্থ
শিল্পবিপ্লব গড়ে উঠবে।
মন্ত্রী গতকাল সন্ধ্যায় ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি আয়োজিত ‘চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের
জন্য বাংলাদেশকে প্রস্তুত করা: উদ্ভাবন ও গবেষণায় ডিজিটাল রূপান্তর’ শীর্ষক
ওয়েবিনারে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব তথ্য জানান। ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি’র ভাইস
চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. আবদুল মান্নান চৌধুরীর সভাপতিত্বে ওয়েবিনারে অন্যদের মধ্যে
বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন
বক্তৃতা করেন।
মন্ত্রী বলেন, প্রযুক্তির ডিজিটাল মহাসড়ক তৈরির প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে।
২০২১ সালের মধ্যেই ফাইভ-জি প্রযুক্তির যাত্রা শুরু হবে বলে আশা করছি। দেশের
অর্থনৈতিক অঞ্চলসমূহে বিদেশি বিনিয়োগের অপরিহার্য চাহিদার কথা বিবেচনা
করে ইতোমধ্যে প্রাথমিকভাবে ৫টি অর্থনৈতিক অঞ্চলে ফাইভ-জি সংযোগ প্রদানের কাজ
শুরু হয়েছে।
মন্ত্রী টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করতে উদ্ভাবনের প্রয়োজনীয়তার উপর
গুরুত্বারোপ করে বলেন, উদ্ভাবনের মাধ্যমে চীন বিশ্বে বড় অর্থনৈতিক শক্তি হিসেবে
আবির্ভূত হচ্ছে। আমাদেরকেও আগামীদিনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় উদ্ভাবনের উপর
বিশেষ গুরুত্ব দিতে হবে। এ লক্ষ্যে প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে মানব সম্পদ তৈরির কাজটি
শুরু করতে হবে। প্রাথমিক ও মাধ্যমিকের ডিজিটাল রূপান্তরের ধারবাহিকতায় উচ্চশিক্ষা
স্তরকেও উদ্ভাবন ও গবেষণায় অনেক মনযোগী হতে হবে। দেশের শতকরা ৬৫ ভাগ তরুণ
জনগোষ্ঠীকে দক্ষ মানব সম্পদ হিসেবে তৈরি করে তাদেরকে চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের শক্তি
হিসেবে কাজে লাগাতে হবে বলে মন্ত্রী উল্লেখ করেন।
মোস্তাফা জব্বার আরো বলেন, অতীতে তিনটি শিল্পবিপ্লবে বাংলাদেশ শরীক হতে
পারেনি। ‘৭২ সালেও আমাদের শতকরা ৯৮ ভাগ জিডিপি কৃষি নির্ভর ছিল। জাতির পিতা
যুদ্ধের ধ্বংসস্তুপের উপর দাঁড়িয়েও মাত্র সাড়ে তিন বছরে দেশকে এগিয়ে নিতে যুগান্তকারী
বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করেন। তিনি পাকিস্তানীদের ফেলে যাওয়া শিল্প
প্রতিষ্ঠানসমূহকে সেক্টর কর্পোরেশনের মাধ্যমে চালু করে দেশীয় শিল্প প্রতিষ্ঠানের
পথচলার সূচনা করেন। টিএন্ডটি বোর্ড প্রতিষ্ঠা, উপগ্রহ ভূ-কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা, আইটিওি
এবং ইউপিইউ এর সদস্যপদ অর্জনের মাধ্যমে ডিজিটাল যোগাযোগ প্রযুক্তির বীজ বপন
করেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল ও দূরদৃষ্টি সম্পন্ন প্রজ্ঞাবান নেতৃত্বে ও
তাঁর উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় এর পরামর্শে বাংলাদেশ আজ চতুর্থ শিল্পবিপ্লবে
নেতৃত্বদানকারি দেশের যোগ্যতা অর্জন করেছে বলে মন্ত্রী জানান।
অনুষ্ঠানে বক্তারা চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় উদ্ভাবন ক্ষেত্রে অধিক বিনিয়োগের
প্রয়োজনীয়তার উপর গুরুত্বারোপ করেন।