ঢাকা, ১৮ কার্তিক( ৩ নভেম্বর) :
রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদআগামীকাল ৪ নভেম্বর ‘ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স
সপ্তাহ ২০২১’ উপলক্ষ্যেনিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেন :
“ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স সপ্তাহ ২০২১ উপলক্ষ্যে আমি ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল
ডিফেন্স অধিদপ্তরের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।
অগ্নিনির্বাপণ, অগ্নিপ্রতিরোধ এবং উদ্ধারকাজ পরিচালনা ও অন্যান্য সেবা কার্যক্রম সম্পর্কে
জনসাধারণকে অবহিতকরণ ও তাদের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে দেশব্যাপী ফায়ার সার্ভিস ও
সিভিল ডিফেন্স সপ্তাহ পালনের উদ্যোগ অত্যন্ত প্রশংসনীয়।
অগ্নিনির্বাপণ, আহতদের উদ্ধার ও প্রাথমিক চিকিৎসাসেবা প্রদান, মুমূর্ষু রোগী পরিবহণ
এবং প্রাকৃতিক বিপর্যয়সহ যে-কোনো মানবসৃষ্ট দুর্যোগ জনজীবনের নিরাপত্তা বিধানে ফায়ার
সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিভিন্ন দুর্যোগের সময় ফায়ার
সার্ভিসের কর্মীরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে প্রথম সাড়াদানকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে সবসময় জনগণের
পাশে এসে দাঁড়ান। তাঁদের উপস্থিতি দুর্ঘটনায় আটকে পড়া মানুষকে বাঁচার সাহস যোগায়। শিল্পায়ন ও
নগরায়ণের ব্যাপকতার ফলে দেশে দুর্ঘটনার হার ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে। বিভিন্ন দুর্যোগে উদ্ধারকাজ
পরিচালনায় দেখা দিচ্ছে নিত্যনতুন চ্যালেঞ্জ । এসকল চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় ফায়ার সার্ভিস
কর্মীদের আধুনিক সরঞ্জাম সরবরাহ ও উন্নত প্রশিক্ষণ প্রদান নিশ্চিত করতে সরকার
বাস্তবমুখী নানা পদক্ষেপ গ্রহণ অব্যাহত রাখবে – এ প্রত্যাশা করি।
ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে বাংলাদেশে বন্যা, ঘূর্ণিঝড়, জলোচ্ছ্বাস, বজ্রপাত ও
ভূমিকম্পের মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগের প্রবণতা বিশ্বের অন্যান্য অঞ্চলের চেয়ে অনেক বেশি। আর
এসব মোকাবিলায় জনসচেতনতা সৃষ্টিতে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তর গুরুত্বপূর্ণ
ভূমিকা পালন করে থাকে। ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স সপ্তাহ উপলক্ষ্যে আয়োজিত বিভিন্ন
অনুষ্ঠান জনগণের সাথে এ বিভাগের কর্মীদের ঘনিষ্ঠতা ও পারস্পরিক যোগাযোগ আরও বৃদ্ধিতে
সহায়ক ভূমিকা রাখবে বলে আমার বিশ্বাস। ‘ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স সপ্তাহ ২০২১’ উপলক্ষ্যে আয়োজিত সকল কর্মসূচি
সফল হোক- এ কামনা করি।
জয় বাংলা।
খোদা হাফেজ, বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।”