কিউবেক (কানাডা), ২৬ সেপ্টেম্বর :
তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু
শেখ মুজিবুর রহমান হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামী বর্তমানে কানাডায় পলাতক
আত্মস্বীকৃত খুনি নূর চৌধুরীকে বাংলাদেশে ফেরত নিতে আমাদের সরকার সর্বাত্মক
প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। কানাডা প্রবাসী বাঙালিদেরও তিনি এই খুনীকে দেশে ফেরত
পাঠানোর দাবিতে ঐক্যবদ্ধ হতে বলেছেন। এছাড়াও বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ
হাসিনার দূরদর্শিতা ও বিচক্ষণতায় জাতির পিতার পলাতক খুনীদের বিচারকার্য সম্পন্ন
হবে বলেপ্রতিমন্ত্রী আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
গতকাল কানাডা আওয়ামী লীগ, কিউবেক আওয়ামী লীগ ও কানাডা যুবলীগ এর যৌথ
উদ্যোগে আয়োজিত ‘বঙ্গবন্ধু’র খুনী নূর চৌধুরীকে অনতিবিলম্বে বাংলাদেশে ফেরত
পাঠানোর দাবির সমর্থনে মতবিনিময়’ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী এসব
কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, পৃথিবীর নির্যাতিত-নিপীড়িত-শোষিত-বঞ্চিত ও মুক্তিকামী
মানুষের আজন্মের অনুপ্রেরণা ছিলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। যিনি
বাঙালি জাতিকে স্বাধীন সার্বভৌম জাতি হিসেবে সংজ্ঞায়িত করেছেন, একটি স্বকীয়
জাতিসত্তার পরিচয় দিয়েছেন, একটি মানচিত্র, একটা পতাকা ও একটি পাসপোর্ট দিয়েছেন।
বাঙালি জাতিকে হাজার বছরের পরাধীনতার শৃঙ্খল ভেঙে স্বাধীনতা এনে দিয়েছিলেন যে মহান
নেতা তাঁর ‘পলাতক আত্মস্বীকৃত খুনি নূর চৌধুরীকে বাংলাদেশে ফিরিয়ে এনে ফাঁসির রায়
কার্যকর করার পাশাপাশি জাতির পিতার মূল খুনী, প্রধান মাস্টারমাইন্ড জিয়াউর
রহমানেরও মরণোত্তর বিচার কার্যকর করবো, ইনশাআল্লাহ।’
ডা: মুরাদ হাসান বলেন; যারা বাংলাদেশের স্বাধীনতায় বিশ্বাস করে না তারা মূলত
ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে দেশে ও বিদেশে দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করছে।তারা দেশে ও জনগণের
শত্রু। এই দেশের গণতন্ত্র এবং সকল শৃঙ্খলা কে ধ্বংস করে দিয়েছে জিয়া। তিনি বলেন,
এদেশের নির্বাচন ও নির্বাচন ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে গিয়েছিল বিএনপি’র প্রতিষ্ঠাতা
জিয়া। এই দেশকে নিয়ে বঙ্গবন্ধু যে স্বপ্ন দেখেছিলেন তার কন্যা শেখ হাসিনা একে একে তা
বাস্তবায়ন করেছেন। শেখ হাসিনা  আছেন বলইে আজ বাংলাদেশের মানুষ নিবিঘ্নে ঘুমাতে
পারে। সেই আস্থা রয়েছে বলইে জনতার রায়ে তিনি চর্তুথবারের মতো রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায়
আছেন। বাংলাদেশ উন্নয়নের মাধ্যমে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে,
দেশের একটি রাজনৈতিক দল বিএনপি তা দেখতে পায় না।

জিয়া পরিবার বাংলাদেশের পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রেও দূর্ণীতির সাথে জড়িত। তাদের
দুর্নীতিরতথ্য পাওয়া গেছে। তারা দেশ থেকে অর্থ পাচারের মামলায় দোষী সাব্যস্ত হয়েছে।
সরকার তাদের পাচার করা অর্থের একটি অংশ ফিরিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছে। বিদেশে অর্থ
পাচারের মাধ্যমে বিলাসী জীবনযাপন করাই তাদের চরিত্র; বলেন তথ্য প্রতিমন্ত্রী।
বিদেশে অবস্থানরত কিছু লোক সরকারের সমালোচনা এবং দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন
করতে ব্যস্ত। এমন সময় তারা এসব করছে যখন সরকার দেশকে মর্যাদাপূর্ণ অবস্থানে
নিয়ে গেছে। কেউই যাতে দেশের মানুষের ভাগ্য নিয়ে ছিনিমিনি খেলতে না পারে সে ব্যাপারে
প্রবাসিদেরকে সজাগ থাকতে হবে।
কানাডা আওয়ামী লীগের সভাপতি গোলাম মাহমুদ মিয়া-এর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি
হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ হাই কমিশনের কানাডার মান্যবর রাষ্ট্রদূত ডা. খলিলুর
রহমান, কানাডা আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি সারওয়ার হোসেনসহ ক্যুইবেক
আওয়ামী লীগ ও কানাডা যুবলীগের নেতৃবৃন্দ।