ঢাকা, ৭ ভাদ্র (২২ আগস্ট) :
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, জাতির পিতা
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান -এর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে প্রকৌশলীদের আরও
অবদান রাখতে হবে। স্বাধীনতার পর পরই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু প্রকৌশলীদের দেশ গড়ার
কাজে আত্মনিয়োগ করতে উদ্বুদ্ধ করেছিলেন। তিনি সেই সময় দেশ-বিদেশে প্রকৌশলীদের
প্রশিক্ষণের ব্যবস্থাও করেছিলেন।
প্রতিমন্ত্রী আজ বঙ্গবন্ধু প্রকৌশল পরিষদ, বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড
শাখার উদ্যোগে জাতীয় শোক দিবসের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা
বলেন। তিনি বলেন, জাতির পিতার হাত ধরেই যুদ্ধবিধ্বস্ত এই দেশকে আলোকিত ও
শিল্পায়িত করার দায়িত্ব নিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন, সঞ্চালন ও বিতরণের সমন্বিত সংস্থা
হিসেবে মাত্র ৫০০ মেগাওয়াট স্থাপিত ক্ষমতাসহ যাত্রা শুরু করে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ
উন্নয়ন বোর্ড। মাত্র ৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ নিয়ে জাতির পিতার শুরু করে দেয়া বিদ্যুৎ
খাত বর্তমানে তাঁরই কন্যার হাতে এসে ২৫ হাজার ২শ' ৩৫ মেগাওয়াট সক্ষমতায় এসে
দাঁড়িয়েছে। এই দেশটি গড়ার জন্য জাতির পিতা মাত্র সাড়ে ৩ বছর সময় পেয়েছিলেন। এত কম
সময়ের মধ্যেই তিনি আমাদের জন্য যা করে দিয়েছেন তার তুলনা পৃথিবীর ইতিহাসে দ্বিতীয়টি
আর খুঁজে পাওয়া যাবে না। জাতির পিতা সদ্যস্বাধীন দেশে ১৯৭২ সাল থেকে ৭৫ সাল পর্যন্ত
সময়ের মধ্যেই আশুগঞ্জ, ঘোড়াশাল ও সিদ্ধিরগঞ্জকে বাংলাদেশের পাওয়ার হাব হিসেবে
গড়ে তুলেছিলেন। পিতার মতো বঙ্গবন্ধু কন্যাও অসম্ভব দেশপ্রেম ও সাহসিকতায়
বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। বাংলাদেশের সবচেয়ে অগ্রসরমান খাতই হলো বিদ্যুৎ
খাত। ২০০৮ সালের আগে ভঙ্গুর বিদ্যুৎ উৎপাদন ব্যবস্থাকে বর্তমানের অবস্থায় নিয়ে
আসতে প্রকৌশলীদের অবদান অনস্বীকার্য।
ভার্চুয়াল এই আলোচনা সভায় মুখ্যআলোচক হিসেবে সংযুক্ত থেকে বক্তব্য দেন
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য, বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ অধ্যাপক আ আ ম স আরেফিন
সিদ্দিক। বঙ্গবন্ধু প্রকৌশল পরিষদ, বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড শাখার সভাপতি আশুতোষ
রায়ের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে সংযুক্ত থেকে বক্তব্য দেন আইইবির সাবেক
সভাপতি ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক প্রকৌশলী আব্দুস
সবুর, বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রকৌশলী বেলায়েত হোসেন,
বঙ্গবন্ধু প্রকৌশল পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি অধ্যাপক ড. হাবিবুর রহমান ও পাওয়ার
সেলের মহাপরিচালক প্রকৌশলী মোহাম্মদ হোসাইন।