ঢাকা, ২১ ভাদ্র (৫ সেপ্টেম্বর) :
আজ জাতিসংঘের টেলিযোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক বিশেষায়িত সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল
টেলিকমিউনিকেশন ইউনিয়ন (আইটিইউ)-এর সদস্যপদ অর্জনের ৪৮তম বার্ষিকী। ১৯৭৩
সালের এই দিনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দূরদৃষ্টি সম্পন্ন নেতৃত্বে
সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশ আইটিইউ এর সদস্য পদ লাভ করে –উন্মোচিত হয় টেলিযোগাযোগ
দুনিয়ায় সাথে বাংলাদেশের স্বর্ণালি দ্বার। দিবসটি উপলক্ষ্যে ডাক অধিদপ্তর স্মারক
ডাকটিকেট, উদ্বোধনী খাম ও ডাটা কার্ড প্রকাশ করেছে।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার আজ ঢাকায় তার দপ্তর থেকে এ
উপলক্ষ্যে ১০ টাকা মূল্যমানের একটি স্মারক ডাকটিকেট ও ১০ টাকা মূল্যমানের একটি
উদ্বোধনী খাম অবমুক্ত করেন। এছাড়া ৫ টাকা মূল্যমানের একটি ডাটাকার্ড উদ্বোধন করা
হয়। মন্ত্রী এসময় একটি বিশেষ সিলমোহর ব্যবহার করেন।
দিবসটি উপলক্ষ্যে মন্ত্রী বলেন, আইটিইউ-এর সদস্য পদ অর্জন ছিল বঙ্গবন্ধুর
দূরদৃষ্টিসম্পন্ন নেতৃত্বের ফসল। টেলিযোগাযোগ নেটওয়ার্ক স্থাপন ও নিরবচ্ছিন্ন
টেলিযোগাযোগ সেবা নিশ্চিত করার জন্য বেতার তরঙ্গ নির্ধারণ, স্যাটেলাইট অরবিট
বরাদ্দকরণ এবং টেলিযোগাযোগ সেবার মানোন্নয়নে নিয়োজিত জাতিসংঘের এই বিশেষায়িত
সংস্থার মূল কাজ বলে তিনি উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশে যুদ্ধের
ধ্বংসস্তুপের ওপর দাঁড়িয়েও বঙ্গবন্ধু এই প্রতিষ্ঠানটির সদস্য পদ অর্জনের মাধ্যমে
ডিজিটাল বাংলাদেশের বীজ বপন করেন। এরই ধারাবাহিকতায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান
বিশ্বের সাথে আধুনিক টেলিযোগাযোগ সেবা নিশ্চিত করতে বেতবুনিয়ায় ভূ-উপগ্রহ কেন্দ্র
স্থাপন, টিএন্ডটি বোর্ড প্রতিষ্ঠা এবং ইউপিইউ-এর সদস্যপদ অর্জনের মাধ্যমে ডিজিটাল
বাংলাদেশের বীজটিকে অংকুরিত করেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৯৯৬ সাল থেকে ২০০১
সাল পর্যন্ত সময়ে অংকুরিত বীজটিকে চারাগাছে রূপান্তর করেন। এ সময়ের মধ্যে মোবাইল
ফোন এবং কম্পিউটার প্রযুক্তি সাধারণের নাগালে পৌছে দেওয়াসহ ডিজিটাল প্রযুক্তি
বিকাশে যুগান্তকারী বিভিন্ন কর্মসূচির ফলে ডিজিটাল বাংলাদেশের সুদৃঢ় ভিত্তি স্থাপিত হয়
বলে তিনি উল্লেখ করেন।
মন্ত্রী বলেন, শেখ হাসিনার দূরদৃষ্টিসম্পন্ন নেতৃত্বে ২০০৮ সালের ১২ ডিসেম্বর
ঘোষিত ডিজিটাল বাংলাদেশ কর্মসূচি গত ১২ বছরে বাংলাদেশকে অগ্রগতির পথে ঐতিহাসিক
দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে বাংলাদেশ ২০১০

সালে এবং ২০১৪ সালে বাংলাদেশ আইটিও-এর কাউন্সিল সদস্য পদে নির্বাচিত হয় বলে
তিনি উল্লেখ করেন। এরই ধারাবাহিকতায় ২০১৬ সালে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট প্রকল্প এবং
২০১৮ সালে সেন্ট্রাল বায়োমেট্রিক ভেরিফিকেশন মনিটরিং প্লাটফর্ম (সিবিভিএমপি)
সল্যুশনটি আইটিইউ টেলিকম এওয়ার্ড লাভ করে। এছাড়াও ২০১২ সাল থেকে প্রতিবছর
বাংলাদেশের বিভিন্ন উদ্যোগ ‘উইসিস ’পুরস্কার পেয়ে আসছে।
স্মারক ডাকটিকেট, উদ্বোধনী খাম ও ডাটাকার্ড রবিবার থেকে ঢাকা জিপিও’র
ফিলাটেলিক ব্যুরো এবং পরে দেশের অন্যান্য জিপিও এবং প্রধান ডাকঘর থেকে সংগ্রহ
করা যাবে।