ঢাকা, ১৭ কার্তিক (২ নভেম্বর) :
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, বঙ্গবন্ধু কেবল
ক্যারিশম্যাটিক নেতাই ছিলেন না, তিনি বিশ্বের অন্যতম শ্রেষ্ঠ প্রশাসকও ছিলেন। তিনি
বলেন, বঙ্গবন্ধু স্বল্প সময়ের মধ্যে সংবিধান প্রণয়ন করেন। শিক্ষা, স্বাস্থ্যের পাশাপাশি
গবেষণা, এমনকি প্রযুক্তিগত সক্ষমতা অর্জনের জন্যও উদ্যোগ নিয়েছিলেন। বঙ্গবন্ধু শুধু
দেশ স্বাধীনই করেননি, দেশ কিভাবে চললে উন্নত ও মর্যাদাশীল জাতি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত
হতে পারে তার পরিপূর্ণ দিকনির্দেশনাও দিয়ে গেছেন। বঙ্গবন্ধু জীবিত থাকলে বাংলাদেশ
অনেক আগেই উন্নত হতো।
মন্ত্রী আজ রাজধানীর একটি হোটেলে জয়তী প্রকাশিত তাকী জোবায়ের রচিত
বঙ্গবন্ধু : বাংলাদেশ উন্নয়ন ভাবনা শীর্ষক গবেষণাগ্রন্থের মোড়ক উম্মোচন ও প্রকাশনা
উৎসবে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
মোজাম্মেল হক বলেন, কুটনীতিক হিসেবেও অনন্য ছিলেন বঙ্গবন্ধু। দ্বিতীয়
বিশ্বযুদ্ধের সময়ের মিত্রবাহিনীর সদস্যরা এখনও বিভিন্ন দেশে অবস্থান করছে, কিন্তু
বঙ্গবন্ধু মাত্র ৩ মাসের মধ্যে ভারতীয় মিত্রবাহিনীর সদস্যদের নিজ দেশে ফেরত পাঠান।
যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ তিনি স্বল্প সময়ের মধ্যে পুনর্গঠন করেন।
মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতা হঠাৎ ঘটে যাওয়া কোনো ঘটনা নয়। বঙ্গবন্ধু
২৩ বছরে বাঙালি জাতিকে স্বাধীনতার জন্য ধাপে ধাপে প্রস্তুত করেছেন। পাকিস্তানের
অত্যাচারের বিরুদ্ধে অনেক নেতা কথা বললেও, প্রকৃতপক্ষে বঙ্গবন্ধুর একক নেতৃত্বেই
বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে।
এ সময় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর শাসনব্যবস্থার বিভিন্ন দিক নিয়ে আরো গবেষণা
করতে গবেষকদের প্রতি আহ্বান জানান মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী।
ছড়াকার আনজীর লিটন অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন।