ঢাকা, ২৩ আষাঢ় (৭ জুলাই) :
আগামী ৮ আগস্ট বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিব এর জন্মবার্ষিকীতে
‘বঙ্গমাতা’ জাতীয় দিবস উদ্যাপন ও পদক প্রদান অনুষ্ঠান যথাযোগ্য মর্যাদায়
উদ্যাপনের লক্ষ্যে আজ ভার্চুয়ালি আন্ত:মন্ত্রণালয় সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় মহিলা ও
শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা সভাপতিত্ব করেন।
সভায় প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা বলেন, সরকার ৮ আগস্ট বঙ্গমাতা
বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিব এর জন্মদিবসকে ‘ক’ শ্রেণির জাতীয় দিবস হিসেবে ঘোষণা
করেছে। এছাড়া বঙ্গমাতার অবদান চিরস্মরণীয় করার লক্ষ্যে বিভিন্ন ক্ষেত্রে নারীর
অবদানের স্বীকৃতি প্রদানের লক্ষ্যে বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিব পদক নারীদের
জন্য ‘ক’ শ্রেণীভুক্ত সর্বোচ্চ জাতীয় পদক প্রদানের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।
মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে এবারই প্রথম আগামী ৮আগস্ট
বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিব এর ৯১তম জন্মবার্ষিকী যথাযোগ্য মর্যাদায়
জাতীয় ও আর্ন্তজাতিক পর্যায়ে জাতীয় দিবস হিসেবে উদ্যাপন করা হবে। এবছর দিবসের
প্রতিপাদ্য হচ্ছে: ‘বঙ্গমাতা সংকটে সংগ্রামে নির্ভীক সহযাত্রী’।
এ দিবসে ৮টি ক্ষেত্রে নারীদের অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ সর্বোচ্চ ৫ জন বাংলাদেশি
নারীকে বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিব পদক প্রদান করা হবে। পদকপ্রাপ্তদের
প্রত্যেককে আঠারো ক্যারেট মানের চল্লিশ গ্রাম স্বর্ণ দ্বারা নির্মিত পদক, পদকের
রেপ্লিকা, চার লাখ টাকা এবং সম্মাননা পত্র প্রদান করা হবে।
বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিব এর ৯১তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় দিবসের
অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন। দিবসটি
উপলক্ষ্যে সারাদেশে ২ হাজার দুস্থ ও অসহায় নারীকে নগদ ২ হাজার টাকা করে মোট ৪০
লাখ টাকা এবং ৪ হাজার সেলাই মেশিন বিতরণ করা হবে। এছাড়া সড়ক ও সড়ক দ্বীপসমূহ
সজ্জিতকরণ, বিলবোর্ড স্থাপন, স্মরণিকা ও ক্রোড়পত্র প্রকাশ, বাংলা ও ইংরেজিতে
পোস্টার তৈরি ও বিতরণ, বঙ্গমাতার জীবনভিত্তিক প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন, ডিজিটাল
শুভেচ্ছা কার্ড বিতরণ এবং মোবাইলে এসএমএস প্রদানের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।
মন্ত্রণালয়ের সচিব মো: সায়েদুল ইসলাম এর সঞ্চালনায় দিবসটি যথাযোগ্য
মর্যাদায় ও সফলভাবে উদ্যাপনের লক্ষ্যে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের করণীয় সম্পর্কে সভায়
বিস্তারিত আলোচনা হয়। সভায় সংযুক্ত ছিলেন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, পররাষ্ট্র
মন্ত্রণালয়, জননিরাপত্তা বিভাগ, বিদ্যুৎ বিভাগ, স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ, গৃহায়ণ গণপূর্ত
মন্ত্রণালয়, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়, টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন, আইসিটি
বিভাগ, বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল, ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন, ঢাকা
মেট্রোপলিটন পুলিশ, বিভাগীয় কমিশনার অফিস, ঢাকা এর প্রতিনিধি, মহিলা ও শিশু বিষয়ক
মন্ত্রণালয়ের অধীন বিভিন্ন দপ্তর ও সংস্থা প্রধানগণ এবং জেলা
প্রশাসক, গোপালগঞ্জ।