ঢাকা, ২৫ শ্রাবণ (৯ আগস্ট) :

ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন
নেছা ছিলেন বঙ্গবন্ধুর প্রেরণার উৎস্য। শেখ ফজিলাতুন নেছার মতো ধীরস্থির,
বুদ্ধিদীপ্ত, মেধাবী, দূরদর্শী, সাহসী, বলিষ্ঠ, নির্লোভ ও নিষ্ঠাবান ইতিবাচক ভূমিকা
জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমানকে বাঙালি জাতির ইতিহাসের মহানায়ক হতে সহায়তা
করেছে। তিনি ছিলেন বাঙালির চিরন্তন নারীর প্রতীক। তিনি ছিলেন বাংলাদেশের আদর্শ
মায়েদের শ্রেষ্ঠ প্রতিনিধি। মা, কন্যা, বধূ প্রতিটি ক্ষেত্রে এই মহিয়সী নারীর ভূমিকা
চিরভাস্বর হয়ে থাকবে বলে উল্লেখ করেন মন্ত্রী।

মন্ত্রী গতকাল ঢাকায় বঙ্গমাতার জীবনের ওপর লেখা ‘বঙ্গমাতা কুসুমিত ইস্পাত
’বইয়ের প্রকাশনা উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা
বলেন। ৩২ জনবিশিষ্ট লেখকের তথ্যবহুল লেখা নিয়ে প্রকাশিত বইটির সম্পাদনা করেছেন
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়েরর বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা হলের প্রভোস্ট ড. জাকিয়া পারভিন।

মন্ত্রী বলেন, ১৯৬৬ সালে ছয়দফা ঘোষণার পর থেকে উত্তাল রাজনীতির দিনগুলোতে
শেখ ফজিলাতুন নেছা’র নেপথ্য ভূমিকা ছাত্রলীগসহ আওয়ামী লীগ নেতা কর্মীদের লড়াই
সংগ্রাম এগিয়ে নেয়ার জন্য অনন্য দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে। আগরতলা যড়যন্ত্র মামলায়
প্যারোলে বঙ্গবন্ধুর মুক্তি নিয়ে একটি কুচক্রীমহল বাঙালি জাতির স্বাধীনতা সংগ্রামকে
বিপন্ন করার ষড়যন্ত্রে মেতে উঠেছিল, তখন প্যারোলে মুক্তির বিপক্ষে বেগম মুজিবের
দৃঢ়চেতা অবস্থান বাঙালির মুক্তি সংগ্রামকে ত্বরান্বিত করেছিল বলে উল্লেখ করেন বীর
মুক্তিযোদ্ধা মোস্তাফা জব্বার। তিনি বলেন, ঐতিহাসিক ৭ মার্চ ভাষণের প্রাক্কালে দলীয়
নেতাকর্মীসহ বিভিন্ন সংগঠনের নানা পরামর্শ ও চাপ উপেক্ষা করে বঙ্গবন্ধু যে অমর
বক্তৃতাটি রেসকোর্স ময়দানে দিয়ে ছিলেন সেদিনও বঙ্গবন্ধুর অনুপ্রেরণাদাত্রী ছিলেন
বঙ্গমাতা। বঙ্গবন্ধুর প্রতিটি আন্দোলন সংগ্রামে অনবদ্য অবদান রেখে তিনিও হয়ে উঠেন
বঙ্গমাতা।

অনুষ্ঠানে জাতীয় অধ্যাপক একে আজাদ খান, কবি নির্মলেন্দু গুণ, বাংলাদেশ নিউজ
এর সম্পাদক আজিজুল ইসলাম ভূঁইয়া এবং সংগীত শিল্পি অর্পণা খান বক্তৃতা করেন।