ঢাকা, ৯ পৌষ (২৪ ডিসেম্বর) :
রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ আগামীকাল ২৫ ডিসেম্বর শুভ ‘বড়দিন’
উপলক্ষ্যে নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেন:
“শুভ ‘বড়দিন’ উপলক্ষ্যে আমি দেশের খ্রিষ্ট ধর্মাবলম্বীসহ বিশ্ববাসীকে
জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।
খ্রিষ্ট ধর্মাবলম্বীগণ সারাবিশ্বে মহামতি যীশুখ্রিষ্টের শুভ জন্মদিনকে
যথাযথ মর্যাদা ও ধর্মীয় ভাবগাম্ভির্যের সাথে ‘বড়দিন’ হিসেবে উদযাপন করে
থাকেন। খ্রিষ্ট ধর্মানুসারে যীশুখ্রিষ্ট ছিলেন সত্যান্বেষী, মানবজাতির মুক্তির দূত
এবং আলোর দিশারি। স্রষ্টা ও সৃষ্টির মধ্যে যোগাযোগ স্থাপনের পাশাপাশি পৃথিবীকে
শান্তির আবাসভূমিতে পরিণত করতে তিনি বহু ত্যাগের বিনিময়ে সৃষ্টিকর্তার মহিমা ও
শান্তির বাণী প্রচার করেন। তিনি পথভ্রষ্ট মানুষকে সত্য ও ন্যায়ের পথে আহ্বান
জানান। মানুষের মধ্যে ভালবাসা, সেবা, ক্ষমা, মমত্ববোধ, সহানুভূতি ও ন্যায়
প্রতিষ্ঠাসহ শান্তিপূর্ণ অবস্থানের শিক্ষা দেন। জাগতিক সুখের পরিবর্তে যীশুখ্রিষ্ট
ত্যাগ, সংযম ও দানের মাধ্যমে পারমার্থিক সুখ অর্জনের ওপর গুরুত্ব দিয়েছেন।
বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর মধ্যে সম্প্রীতি ও ঐক্য স্থাপনসহ অশান্ত বিশ্বে শান্তি
প্রতিষ্ঠায় যীশুখ্রিষ্টের শিক্ষা ও আদর্শ অনুসরণীয়।
বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ। আবহমানকাল থেকে এদেশে সব
ধর্মের মানুষ নিজ নিজ ধর্ম ও আচার-অনুষ্ঠানাদি স্বাধীনভাবে পালন করে আসছে।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান একটি অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়ার
স্বপ্ন দেখেছিলেন। আমি একটি সুখী-সমৃদ্ধ ও অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গঠনে
সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান জানাই।
শুভ ‘বড়দিন’ খ্রিষ্টধর্মাবলম্বীসহ সকলের জন্য বয়ে আনুক অশেষ আনন্দ ও
কল্যাণ, সবার জীবন ভরে উঠুক সুখ ও সমৃদ্ধিতে- এ কামনা করি।
জয় বাংলা।
খোদা হাফেজ, বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।”