২৩ শ্রাবণ (৭ আগস্ট) :
শুক্রবার (৫ আগস্ট) রাতে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, রাত ১২টার পর থেকে ডিপোর ৪০ কিলোমিটারের মধ্যে ভোক্তা পর্যায়ে খুচরা মূল্য লিটারপ্রতি ডিজেল ও কেরোসিন ১১৪ টাকা, অকটেন ১৩৫ টাকা এবং পেট্রোল ১৩০ টাকা হবে। এরপর থেকে নতুন দামে জ্বালানি তেল বিক্রি হচ্ছে।
বাংলাদেশে সব ধরনের জ্বালানি তেলের দাম বাড়িয়েছে সরকার। জ্বালানির দাম বৃদ্ধির পর শুক্রবার (৫ আগস্ট) রাত থেকেই দেশের বিভিন্ন স্থানে ক্ষোভ জানান নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ। বিশেষভাবে মোটরসাইকেল চালকরা ব্যাপক ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
শনিবার (৬ আগস্ট) দুপুরে রাজধানীর শ্যামলীতে একটি মিছিল থেকে পুলিশের গাড়িতে ভাঙচুর চালানো হয়। এ অবস্থায় আগ্রাসীভাবে নয়, বরং সব দিক বিবেচনায় ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের ‘ধৈর্য ধরে’ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
অর্থনৈতিক সংকট মোকাবেলায় আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল বা আইএমএফ থেকে প্রায় সাড়ে চারশো কোটি ডলার ঋণ নেয়ার চেষ্টা করছে সরকার। কিন্তু এ সংস্থা থেকে ঋণের প্রধানতম শর্তই হলো জ্বালানি খাত থেকে ভর্তুকি তুলে নেয়া।
এখন বিশ্লেষকরা ধারণা করছেন, সরকার যে ঋণ চেয়েছে সংস্থাটির কাছ থেকে তা নিয়ে আনুষ্ঠানিক বৈঠকের আগেই তেলের দাম বাড়িয়ে তাদের শর্ত পূরণ করে নিলো।
বাংলাদেশে চলতি অর্থবছরের বাজেটে ৮২ হাজার ৭৪৫ কোটি টাকা যে ভর্তুকি বরাদ্দ রাখা হয়েছে তার বড় অংশই জ্বালানি তেল, গ্যাস ও বিদ্যুতের জন্য। গত মাসে আইএমএফ’র একটি প্রতিনিধিদল ঢাকায় এসেছিলো এবং সে সময় সরকারকে এ ভর্তুকি কমিয়ে আনার পরামর্শ দিয়েছিলো।