ঢাকা, ৩ আশ্বিন (১৮ সেপ্টেম্বর) :
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মোঃ শাহাব উদ্দিন বলেছেন, মানুষকে
সূর্যের ক্ষতিকর রশ্মি থেকে বাঁচাতে ওজোনস্তর রক্ষায় গৃহীত ভিয়েনা কনভেনশন ও
মন্ট্রিল প্রটোকল বাস্তবায়নে বাংলাদেশ সফলভাবে কাজ করছে।
মন্ত্রী আজ ‘মন্ট্রিল প্রটোকল মেনে ওজোনস্তর রক্ষা করি, নিরাপদ খাদ্য ও
প্রতিষেধকের শীতল বিশ্ব গড়ি’ প্রতিপাদ্যে বিশ্ব ওজোন দিবস ২০২১ উদযাপন উপলক্ষ্যে
বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের কর্পোরেট অফিসে
আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
শাহাব উদ্দিন বলেন, বাংলাদেশ মন্ট্রিল প্রটোকল বাস্তবায়নের সকল ধাপ যথাসময়ে
সঠিকভাবে অতিক্রম করেছে এবং প্রটোকলের বাধ্যবাধকতা প্রতিপালন করছে। এর
স্বীকৃতিস্বরূপ ২০১২ এবং ২০১৭ সালে জাতিসংঘ পরিবেশ কর্মসূচি কর্তৃক বাংলাদেশ
প্রশংসিত ও পুরস্কৃত হয়। এছাড়া ওজোনস্তর ক্ষয়কারী দ্রব্যের অবৈধ অনুপ্রবেশ ও
আমদানি নিয়ন্ত্রণে উল্লেখযোগ্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ওয়ার্ল্ড কাস্টমস
অর্গানাইজেশন, জাতিসংঘ পরিবেশ কর্মসূচি এবং ওজোন সেক্রেটারিয়েট কর্তৃক ২০১৯
সালে পরিবেশ অধিদপ্তরকে পুরস্কার প্রদান করা হয়।
পরিবেশ মন্ত্রী আরো বলেন, বর্তমানে মন্ট্রিল প্রটোকল বাস্তবায়নে ৫টি
এয়ারকন্ডিশনার উৎপাদন কোম্পানি ও একটি চিলার উৎপাদন কোম্পানিকে আর্থিক ও
কারিগরি সহায়তা প্রদানের মাধ্যমে বাংলাদেশে পরিবেশবান্ধব ও শক্তিসাশ্রয়ী এসি
উৎপাদন করা যাবে। এলক্ষ্যে সরকারের বিভিন্ন নীতি গ্রহণের ফলে ২০২৫ সালে
এইচসিএফসির ব্যবহার ৬৭.৫ শতাংশ কমিয়ে আনা সম্ভব হবে। এইচপিএমপি স্টেজ-২
বাস্তবায়নের মাধ্যমে প্রায় ১.৭ মিলিয়ন টন কার্বন-ডাই-অক্সাইড সমতুল্য গ্রিন হাউস
গ্যাস নিঃসরণ এড়ানো সম্ভব হবে। রেফ্রিজারেশন সেক্টরের প্রায় ১০ হাজার
টেকনিশিয়ানকে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়েছে। এছাড়া ওডিএস চোরাচালান রোধে কাস্টমস
কর্মকর্তাদের প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ ও সচেতনতা কার্যক্রম পরিচালনা করা এবং
ওডিএস আইডেন্টিফায়ার প্রদান করা হয়েছে। ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডসহ
সকল সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ও সংগঠনকে মন্ট্রিল প্রটোকলের প্রত্যেকটি
বাধ্যবাধকতা মেনে চলার আহ্বান জানান মন্ত্রী।
পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক