বরিশাল, ৩১ বৈশাখ (১৪ মে) :

পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক বলেছেন, প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে আজ বাংলাদেশ
উন্নয়নশীল দেশে এসে পৌঁছেছে। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে ২০৩০ সালের ভেতরে দেশ উচ্চ মধ্যম
আয়ের দেশে উপনীত হবে। আর ২০৪১ সালের মধ্যে সমৃদ্ধিশালী দেশের কাতারে দাঁড়াবে। যারা
বাংলাদেশকে শ্রীলংকার সাথে তুলনা করছে, তারা মনগড়া কথা বলছে। বাংলাদেশ কখনওই শ্রীলংকা
হতে পারে না। শ্রীলংকার বর্তমান ফরেন রিজার্ভ হলো দুই বিলিয়ন ডলার, আর বাংলাদেশের ৪২
বিলিয়ন ডলার। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে শ্রীলংকাকেও লোন দেয়া হয়েছে।

আজ বরিশাল শিল্পকলা একাডেমির অডিটরিয়ামে বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের আয়োজনে
অনুষ্ঠিত কমিউনিটি পুলিশিং সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক বলেন, বাংলাদেশে ২০১৭ সাল থেকে কমিউনিটি পুলিশিং ডে
উদযাপন করে আসছে। যারা সন্ত্রাস দমনসহ আইন-শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে নিয়োজিত থাকেন তাদের
সাথে সাধারণ মানুষের মাঝে একটা বন্ধন সৃষ্টি করেছে কমিউনিটি পুলিশিং। পুলিশের সদস্যদের যে
কাজে নিয়োজিত করা হয়েছে, সেই কাজটি সত্যিকার অর্থে বাস্তবায়ন করতে হলে কমিউনিটি পুলিশিং
এর সদস্যদের সহযোগিতা অবশ্যই প্রয়োজন। একটি কমিউনিটির লোকজন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী
বাহিনীর সাথে একত্রিত হয়ে ওই এলাকার সন্ত্রাস দমন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষা করতে পারে।
সভায় সভাপতিত্ব করেন বরিশাল সিটি মেয়র সাদিক আব্দুল্লাহ । অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা
হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পুলিশ কমিশনার মোঃ শাহাবুদ্দিন খান।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, দেশের কোন বিভাগ বা জেলায় কমিউনিটি পুলিশিং কতটা ভালো করছে তার
কম্পিটিশন থাকা উচিত তাহলে এটার মান আরো উন্নয়ন হবে। কমিউনিটি পুলিশিং এ সদস্যদের
এমনভাবে নেয়া উচিত যেখানে কোন রাজনীতি, স্বার্থ কাজ করা উচিত না। কমিউনিটি পুলিশিং
কার্যক্রমের মাধ্যমে নিরলসভাবে কাজ করে সমাজের মানুষকে নিরাপত্তা, আইনি সহায়তা ও সেবা
দিয়ে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে বিশেষ অবদান রাখা যাবে বলে আমরা মনে করি।
প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, বাংলাদেশকে সমৃদ্ধিশালী দেশে নিতে হলে শান্তি-শৃঙ্খলা বজায়
রাখতে হবে। বঙ্গবন্ধু সোনার বাংলা গড়ার যে স্বপ্ন দেখেছেন, তা বাস্তবায়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ
হাসিনা রাত-দিন কাজ করে যাচ্ছেন। সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নে আপনাদের দায়িত্ব অপরিসীম।
আপনাদের এলাকার আইনশৃঙ্খলা স্বাভাবিক রাখতে আরো সুন্দরভাবে কাজ করুন। যাতে এলাকাবাসী
শান্তিতে বসবাস করতে পারে এবং এলাকার উন্নয়ন হয়। নারীদের ওপর নিপীড়ন বন্ধে, শিশুবান্ধব
পরিবেশ এবং মাদক ও সন্ত্রাসমুক্ত সমাজ গড়তে কমিউনিটি পুলিশিং এর সদস্যদের ভূমিকা রাখতে
হবে।