ঢাকা, ২১ পৌষ (৫ জানুয়ারি) :

পটুয়াখালী ও বরগুনায় শুরু হতে যাওয়া ‘বাংলাদেশ ডিজিটাল সার্ভে’ বাংলাদেশের সর্বশেষ
ভূমি জরিপ হবে বলে ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী আশা প্রকাশ করেন।

মন্ত্রী আজ রাজধানীর তেজগাঁওয়ে ভূমি ভবন মিলনায়তনে ডাকযোগে ভূমিসেবা, ভূমিসেবায়
ডিজিটাল পেমেন্ট এবং কল সেন্টারের মাধ্যমে ভূমিসেবা-এর উদ্বোধন করেন।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে আরো উপস্থিত ছিলেন ভূমি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত
সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি মকবুল হোসেন এমপি, ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব মোঃ
খলিলুর রহমান। সম্মানীয় অতিথি ছিলেন ভূমি ব্যবস্থাপনা অটোমেশন প্রকল্পের Land
Management Domain Specialist ও সাবেক মুখ্য সচিব মোঃ আবুল কালাম আজাদ। ভূমি
মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন।

ভূমিমন্ত্রী এসময় বলেন, পুরো ভূমি ব্যবস্থাপনা ডিজিটালাইজেশন হবার সাথে সাথে সারা
দেশে ‘বাংলাদেশ ডিজিটাল সার্ভে’ সম্পন্ন হয়ে গেলে নতুন ভূমি কিংবা জেগে ওঠা চর ছাড়া
পরবর্তীতে আর ভূমি জরিপের (জরিপ বলতে এখানে ক্যাডাস্ট্রাল জরিপ/ Cadastral Survey
প্রয়োজন হবে না। ভূমি হাত বদলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে খতিয়ান ও ম্যাপ প্রস্তুত হয়ে যাবে, ফলে যুগ
যুগ ধরে জরিপের হয়রানি থেকে দেশের মানুষ রক্ষা পাবে।

প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে ভূমি মন্ত্রণালয় জাতিসংঘ জনসেবা পদক পেয়েছে উল্লেখ করে
ভূমিমন্ত্রী বলেন, এতে প্রমাণিত হয়েছে ভূমি মন্ত্রণালয় আজ সরকারের অন্যতম উন্নয়ন ও
গতিশীল মন্ত্রণালয়।

ভূমিসেবা ডিজিটালাইজেশন ছাড়াও আইন ও বিধি সংশোধন হচ্ছে বলে এসময় জানান
ভূমিমন্ত্রী। তিনি আরো জানান হাট ও বাজার আইনের আওতায় ভূমিগুলোতে স্থানীয় পৌরসভার
সাথে যৌথভাবে উন্নয়ন কাজ করা হবে।

আজকের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানস্থলে দুইজন নাগরিক সরাসরি ভূমি সেবা গ্রহণ করেন।
একজন ১৬১২২ নম্বরে কল করে খতিয়ান এবং ইউডিসি-এর মাধ্যমে অপরজন জমির মৌজা
ম্যাপের আবেদন করেন। বঙ্গবন্ধুর ভূমি সংস্কার বিষয়ক একটি তথ্যচিত্রও প্রদর্শিত হয়
অনুষ্ঠানে।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সংসদ সদস্যবৃন্দ ও ভূমি
মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সদস্যবৃন্দ।

উল্লেখ্য, এখন থেকে ১৬১২২ নম্বরে ফোন করেই খতিয়ান ও ম্যাপের আবেদন করতে
পারবেন ভূমি মালিক। এছাড়া জমির মালিক খতিয়ান ও নামজারি ফি এবং ভূমি উন্নয়ন কর অনলাইনে
প্রদান করতে পারবে। সেই সাথে ডাকযোগে খতিয়ান (পর্চা)/জমির ম্যাপ নিজ ঠিকানায় নিতে
পারবেন। আজকের উদ্বোধনকৃত সেবামূহের ফলে সংশ্লিষ্ট সরকারি কর্মচারী কর্তৃক ক্ষমতার
অপব্যবহারের সুযোগ হ্রাস পাবে এবং ই-পর্চা, ই-রেজিস্ট্রেশন, এলডি ট্যাক্স সিস্টেম, ভার্চুয়াল
শুনানি সিস্টেমের সাথে ইন্টিগ্রেশন হবে। এছাড়া, মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসের মাধ্যমে
সরকারি কোষাগারে তাৎক্ষণিক ফি জমা প্রদান করার সুযোগ এবং ভূমি অফিসে না গিয়েই
অনলাইনে ডিসিআর সংগ্রহ করার সুযোগ সৃষ্টি হলো নাগরিকের। এতে মানুষের অর্থ-খরচ ও
ভোগান্তি অনেকাংশে লাঘব পাবে।