ঢাকা, ৪ পৌষ (১৯ ডিসেম্বর) :
বাংলাদেশ থেকে কর্মী নিয়োগের জন্য মালয়েশিয়া ও বাংলাদেশ সরকারের মধ্যে নতুন
একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে। এই সমঝোতা স্মারকে স্বাক্ষর করেন বাংলাদেশ
সরকারের প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদ এবং মালয়েশিয়া
সরকারের মানবসম্পদ মন্ত্রী দাতুক সেরি এম সারাভানান।
আজ মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুরে স্থানীয় সময় সকাল ১১ টায় এ সমঝোতা স্মারক
স্বাক্ষরিত হয়েছে। এ সময় প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব ড.
আহমেদ মুনিরুছ সালেহীন, মালয়েশিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশ হাইকমিশনার মোঃ গোলাম সারোয়ার
এবং মালয়েশিয়ার মানবসম্পদ মন্ত্রণালয়ের ডেপুটি সেক্রেটারি জেনারেল দাতু মুহাম্মদ খাইর
আজমান বিন মোহামেদ আনুয়ার, বিএমইটির মহাপরিচালক মোঃ শহীদুল আলম, শ্রম
কাউন্সেলর মোঃ জহিরুল ইসলামসহ উভয় দেশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের ফলে বাংলাদেশ থেকে কর্মী নিয়োগ, কর্মসংস্থান এবং
প্রত্যাবাসনের আদর্শ কাঠামো প্রতিষ্ঠার সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। বাংলাদেশের শ্রমিকদের
কর্মসংস্থান একটি অন্যতম সহযোগিতার ক্ষেত্র এবং পারস্পরিকভাবে উপকারী বলে উভয়
দেশ বিশ্বাস করে। বাংলাদেশের কর্মীরা যেমন মালয়েশিয়ার অর্থনৈতিক উন্নয়নে অবদান
রাখছে, তেমনি বাংলাদেশের উন্নয়নেও অবদান রেখে যাচ্ছে যা উভয় দেশ স্বীকার করে।
এ সমঝোতা স্মারকের আওতায় বাংলাদেশি কর্মীদের মালয়েশিয়া প্রান্তের সকল খরচ
নিয়োগকর্তা বহন করবেন। যেমন, রিক্রুটমেন্ট এজেন্সি নিয়োগ, মালয়েশিয়ায় আনয়ন,
আবাসন, কর্মে নিয়োজন এবং কর্মীর নিজ দেশে ফেরত প্রেরণের খরচ বহন করবেন।
নিয়োগকর্তা নিজ খরচে মালয়েশিয়ান রিক্রুটিং এজেন্ট নিযুক্ত করতে পারবেন। মালয়েশিয়ায়
আসার পর বাংলাদেশি কর্মীর ইমিগ্রেশন ফি, ভিসা ফি, স্বাস্থ্য পরীক্ষার খরচ, ইনস্যুরেন্স
সংক্রান্ত খরচ, করোনা পরীক্ষার খরচ, কোয়ারেন্টাইন সংক্রান্ত খরচসহ সকল ব্যয়
মালয়েশিয়ার নিয়োগকর্তা কোম্পানি বহন করবেন। নিয়োগকর্তা কর্মীর মানসম্মত আবাসন,
বীমা, চিকিৎসা এবং কল্যাণ নিশ্চিত করবে। ফলে আশা করা যায় কর্মীর অভিবাসন খরচ
অনেক কমে যাবে।
উভয় দেশের আইন, বিধি, প্রবিধান, জাতীয় নীতি এবং নির্দেশাবলীর আলোকে এই
সমঝোতা স্মারকে কর্মীদের অধিকার ও মর্যাদাকে অধিকতর সুরক্ষিত করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, মালয়েশিয়া সরকার ২০১৮ সালের অক্টোবরে বাংলাদেশ থেকে কর্মী নিয়োগে
স্থগিতাদেশ আরোপ করে এবং পুনরায় কর্মী নিয়োগ শুরু করার লক্ষ্যে উভয় দেশের মধ্যে বেশ
কয়েকটি সভা অনুষ্ঠিত হয়। প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের
নেতৃত্বে আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা এবং বাংলাদেশ হাইকমিশন, কুয়ালালামপুরের নিরলস পরিশ্রম
ও অবিরাম কুটনৈতিক প্রচেষ্টার ফলে মালয়েশিয়া সরকার সম্প্রতি বাংলাদেশ থেকে কর্মী
নিয়োগের অনুমোদন প্রদান করে।