রাজধানীর সায়েদাবাদ বাস টার্মিনালে আধিপত্য বিস্তার কেন্দ্র করে সন্ত্রাসী-চাঁদাবাজদের দুই গ্রুপের মধ্যে উত্তপ্ত পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। প্রায় প্রতিদিনই সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা মহড়া দিচ্ছে। প্রকাশ্য মহড়ায় সাধারণ বাসমালিকরা আতঙ্কে পড়েছেন। যেকোনো সময় ভয়াবহ রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশঙ্কায় মালিক সমিতি ইতোমধ্যে নিরাপত্তা জোরদারের দাবি জানিয়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে টার্মিনালে বাড়তি নিরাপত্তাকর্মী মোতায়েন করা হয়েছে।

ঢাকা সড়ক মালিক সমিতির সূত্রের অভিযোগ, বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে যারা একচ্ছত্র চাঁদাবাজি ও মাদক ব্যবসা করে আসছিল তারাই এখন রাতারাতি ভোল পাল্টে টার্মিনালের দখল নেওয়ার পাঁয়তারা চালাচ্ছে। এ নিয়ে স্থানীয় মালঞ্চ কমিউনিটি সেন্টারে শ্রমিকদের একটি অংশ বৈঠক ডাকে। এতে অংশ নেন আলমগীর হোসেন, মিজান ভান্ডারী, সাবেক মন্ত্রী শাজাহান খানের ভাগ্নে মাহমুদ, সেলিম সারোয়ার, সোহরাব, কাজল ও মাহতাব। পরদিন রবিবারও তারা একই কায়দায় পেশিশক্তি প্রদর্শন করেন। প্রকাশ্যেই তারা টার্মিনালের মালিক সমিতির নীতি-আদর্শের বাইরে গিয়ে নিজেদের প্রাধান্য বিস্তার করার ঘোষণা দেন। এ নিয়ে তাদের নিজেদের মধ্যে দেখা দেয় দ্বন্দ্ব-সংঘাত। এ বিষয়ে ঢাকা সড়ক মালিক সমিতির প্রচার সম্পাদক কাজী মাসুদ বলেন, বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে এনায়েত বাহিনীর হয়ে যারা সায়েদাবাদ টার্মিনালে কোটি কোটি টাকার চাঁদাবাজিতে লিপ্ত ছিল, সরকার পতনের পর তারাই এখন হঠাৎ ভোল পাল্টে আলমগীর ও মিজান ভান্ডারীর সহযোগিতায় সক্রিয় হওয়ার চেষ্টা করছে। এর আগেও গত সপ্তাহে এ চক্রটি হামলা চালিয়ে কয়েকজন শ্রমিককে আহত করে। বিতর্কিত শ্রমিক ইউনিয়ন (২১৯৫)-এর ব্যানারে তাদের এ অপচেষ্টার বিরুদ্বে ইতোমধ্যে স্থানীয় প্রশাসনকে অবহিত করা হয়েছে। এতে সাধারণ মালিক শ্রমিকদের মধ্যেও এক ধরনের আতঙ্ক বিরাজ করছে।