বরিশাল মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব জিয়া উদ্দিন সিকদারকে স্কুল পরিচালনার প্রস্তাবিত কমিটির দ্বিতীয় নম্বরে রাখায় মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বোর্ড চেয়ারম্যানকে অবরুদ্ধ করে রাখার ঘটনা ঘটেছে।

সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা ৭টার দিকে বোর্ড চেয়ারম্যানের অফিস কক্ষে বিএনপি নেতা জিয়া উদ্দিন সিকদারের অনুসারীরা এ ঘটনা ঘটায়।

শিক্ষা বোর্ডের একাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারী তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তারা জানান, বরিশাল সিটি করপোরেশনের ২৫ নম্বর ওয়ার্ডের এ ওয়াহেদ বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অ্যাডহক কমিটির সভাপতি পদে তিনজনের নাম প্রস্তাব করা হয়। কমিটির ১ নম্বরে ওই প্রতিষ্ঠানের সাবেক প্রধান শিক্ষক ও প্রতিষ্ঠাতার স্ত্রী, দ্বিতীয় নম্বরে মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব জিয়া উদ্দিন সিকদার এবং তৃতীয় নম্বরে স্থানীয় আরেকজন সমাজসেবকের নাম প্রস্তাব করা হয়। এর আগেও কয়েক দফায় জিয়া উদ্দিন সিকদারকে সভাপতি করে কমিটি ঘোষণার জন্য বোর্ড চেয়ারম্যানকে চাপ দেওয়া হচ্ছিল বলে জানা গেছে।

সর্বশেষ সোমবার সন্ধ্যায় জিয়া উদ্দিন সিকদারের অনুসারী নেতাকর্মী বোর্ড চেয়ারম্যানের সঙ্গে দেখা করে জানতে চান জিয়া উদ্দিন সিকদারকে সভাপতি হিসেবে ঘোষণা করা হচ্ছে না কেন? এবং তার কারণ জানতে চান। একই সঙ্গে তারা বোর্ড চেয়ারম্যানকে অবরুদ্ধ করে রেখে চাপ প্রয়োগ করতে থাকেন, তাৎক্ষণিক তালিকা প্রস্তুত করে জিয়া উদ্দিন সিকদারকে সভাপতি হিসেবে ঘোষণা করার জন্য।

বিষয়টি জানতে পেরে বোর্ডের অন্যান্য কর্মকর্তা-কর্মচারীরা গিয়ে চেয়ারম্যানকে অবরুদ্ধ অবস্থা থেকে মুক্ত করেন।

এ ঘটনার একটি ভিডিও বিভিন্ন মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। তাতে দেখা গেছে, ছাত্রদল নেতা তুষার, ইলিয়াস, ইমরান, স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা সোলায়মান, তারেকসহ কয়েকজনকে উত্তেজিত হয়ে কথা বলতে।

শিক্ষা বোর্ড চেয়ারম্যান অধ্যাপক ইউনুস আলী সিদ্দিকী বলেন, আহ্বায়ক কমিটির সিদ্ধান্ত বিভাগীয় কমিশনারের দপ্তর থেকে আসে। এ ওয়াহেদ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রস্তাবিত কমিটির প্যানেলে ২ নম্বরে রাখা হয়েছে বিএনপি নেতা জিয়া উদ্দিন সিকদারকে। কেন তাকে দ্বিতীয় নম্বরে রাখা হয়েছে তার কারণ জানতে একদল কর্মী বোর্ডে এসেছিলেন।

তিনি বলেন, বিভাগীয় কমিশনারের হাতে কমিটি চূড়ান্তের এখতিয়ার। আমিতো চূড়ান্ত কিছুই করতে পারবো না।

বিষয়টি নিয়ে মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব জিয়া উদ্দিন সিকদার মুঠোফোনে বলেন, এমন কোনো ঘটনা সর্ম্পকে আমার জানা নেই। যারা বোর্ডে গিয়েছিলেন তাদের আমি চিনি না। কেউ আমার নাম ব্যবহার করলে আমি কি করতে পারবো প্রশ্ন রাখেন তিনি।