নিজস্ব প্রতিবেদক: ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির প্রভাবশালী সদস্য উত্তরা পূর্ব থানা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও নওয়াব হাবিবুল্লাহ স্কুল এন্ড কলেজের বর্তমান সভাপতি আব্দুস সালাম সরকার তার বিরুদ্ধে আনিত কিছু অপপ্রচারের জবাব দিতে উত্তরা পূর্ব থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছেন।
থানায় লিখিত ডায়েরি সূত্রে জানা গেছে, সালাম সরকার সম্প্রতি উত্তরার ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নওয়াব হাবিবুল্লাহ স্কুল এন্ড কলেজের গর্ভনিং বর্ডির সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন। এবার সরকারের নীতিমালা অনুযায়ী শুধুমাত্র স্নাতকত্তোর সনদধারীরাই স্কুলের সভাপতি হতে পারবেন। সেই নীতিমালার শতভাগ পূরণ করেই বর্তমানে স্কুলটির সভাপতি হয়েছেন সালাম সরকার। কিন্তু কিছু কুচক্রী মহল তার সুনামহানী করার জন্য জাল সনদের অভিযোগ তুলে। যা হাস্যকর দাবি করেছেন তিনি।
অভিযোগটি পুরোপুরি মিথ্যা দাবি করে সালাম সরকার বলেন, দলের অনেকের সাথে পরামর্শ করেই আমি নওয়াব হাবিবুল্লাহ স্কুলের সভাপতি হয়েছি। এ পদে আসতে অন্য কারোর তেমন কোন প্রতিযোগিতাও লক্ষ্য করিনি। কারোর তেমন বিরোধিতাও দেখিনি। তারপরও আমি সভাপতি হওয়ার পর থেকে আমাকে নানা ভাবে বির্তকে ফেলার চেষ্টা করছে একটি কুচক্রীমহল। আমি চাই স্কুলের সভাপতি হিসেবে আমার কাজের সমালোচনাকে আমি সব সময় স্বাগত জানাই, তবে আমি জাল সনদে সভাপতি হয়েছি এসব প্রচারণাকে বিকৃত মগজের কাজ বলেই মনে করছি। জমি দাতা হিসেবে আমার পরিবার স্কুলের অন্যতম দাতা সদস্য। তাই ৫ আগস্টের পর স্কুলের ছাত্র, শিক্ষক ও অভিভাবকদের বড় একটি অংশ আমাকে স্কুলের হাল ধরার অনুরোধ করে। তাই অপপ্রচারকারীদের বিরুদ্ধে আমি শিগগিরই আইনগত ব্যবস্থা নিবো।
অনুসারী নেতারা জানান, ধনাঢ্য পরিবারের সন্তান হিসেবে সালাম সরকার ও তার পরিবার দানশীল হিসেবে পরিচিত। তাদের অর্থায়নে দক্ষিণ খান ও উত্তরায় বেশ কয়েকটি মসজিদ ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান চলে। তাছাড়া দলীয় নেতাকর্মীদের বিপদে আপদে সব সময়ই সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেন। এমন একজন ব্যক্তির বিরুদ্ধে মসজিদের বা রাস্তা ঘাটের চাদা খাওয়ার অভিযোগ শুধু ভিত্তিহীন নয় রীতি মতো হাস্যকর। দলের ইমেজ নষ্ট হয় এমন কোন কাজে নেতাকর্মীদের জড়াতে দিচ্ছেন না সালাম সরকার। তাই কোন পক্ষ হয়তো তার উপর ক্ষুব্ধ